Primay Education ।।Class-VI ।। Bangla (বাংলা) ।। Shankar Senapoti (শংকর সেনাপতি)
শংকরসেনাপতি
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
লেখক পরিচিতিঃ- শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় (১৯৩৩–২০০১) : জন্মস্থান অধুনা বাংলাদেশের খুলনা। বহুবিচিত্র জীবিকার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই সাংবাদিক-লেখকের সব রচনাতেই সেই বিচিত্রতার স্বাদ পাওয়া যায়। বহু সাহিত পুরস্কারে সম্মানিত এই লেখক ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর শাহাজাদা দারাশুকো উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে – বেঁচে থাকার স্বাদ, ভাস্কো দা গামার ভাইপো, মনে কি পড়ে, কুবেরের বিষয়আশয়, ঈশ্বরীতলার রুপোকথা, ক্লাস সেডেনের মিস্টার ব্রেক৷ বর্তমান রচনাংশটি তাঁর শংকর সেনাপতি গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
১.১ শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ- 'কুবেরের বিষয় আশয়' এবং 'শাহাজাদা দারাশুকো' হল শ্যামল শ্যামল গঙ্গোপাধ্যাযইয়ের লেখা দুটি বইয়ের নাম ।
১.২ তিনি কোন বইয়ের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ- 'শাহাজাদা দারাশুকো' উপন্যাস রচনার জন্য শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন ।
২। নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ-
২.১ আকন্দবাড়ি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কোন কোন জায়গা থেকে পড়তে আসে?
উত্তরঃ- ভেটুরিয়া, ঘোলপুকুর এবং আনন্দবাড়ি গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা আকন্দবাড়ি স্কুলে পড়তে আসে।
২.২ স্কুলের জানলা থেকে কী কী দেখা যায় ?
উত্তরঃ- স্কুলের জানলায় গারদ না থাকায় জানালা দিয়ে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের মেঘ ও উড়ন্ত পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
২.৩ শঙ্কর কীসের স্বপ্ন দেখে?
উত্তরঃ- শঙ্কর শঙ্খচিলের স্বপ্ন দেখে।
২.৪ শঙ্করের স্বপ্নে বাতাসের রং কী?
উত্তরঃ- শঙ্করের স্বপ্নে বাতাসের রং নীলাভ।
২.৫ এমু ছাড়া উড়তে পারে না শুধু দৌড়তে পারে এমন একটি পাখির নাম লেখো।
উত্তরঃ- উটপাখি ও এমু পাখির মতো উড়তে পারে না কেবল দৌড়তে পারে।
৩।গল্প থেকে একই অর্থযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :
বিদ্যালয়, অনিল, জগৎ, একাগ্র-চিত্তে , পাখা, রোপণ করা
বিদ্যালয় = স্কুল
অনিল = বাতাস
জগৎ= পৃথিবী
একাগ্র-চিত্তে = একমনে/ তন্ময়
পাখা = ডানা
রোপণ করা = রোয়া
৪।বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো :
ভিজে, রাত, বাইরে , গাঢ়, বিশ্বাস
ভিজে- শুকনো-গ্রীষ্মের শুকনো আবহাওয়া কষ্টকর ।
রাত - দিন - দিনের বেলা আমরা কাজ করি।
বাইরে - ভিতরে - বাড়ির ভিতরে কেউ আছো?
গাঢ় - পাতলা - আমার মাথার চুল খুব পাতলা।
বিশ্বাস - অবিশ্বাস - সে আমাকে অবিশ্বাস করে।
সন্ধি বিচ্ছেদ করো:
বঙ্গোপসাগর = বঙ্গ + উপসাগর।
তন্ময় = তৎ + ময় ।
সাবধান = স + অবধান ।
ত্রিশেক = ত্রিশ + এক।
পঞ্চানন = পঞ্চ + আনন।
৬। নীচের শব্দগুলির কোনটি বিশেষ্য এবং কোনটি বিশেষণ তা খুঁজে নিয়ে আলাদা দুটি স্তম্ভে সাজাও। এরপর বিশেষ্যগুলির বিশ্লেষণের রূপ এবং বিশেষণগুলির বিশেষ্যের রূপ লেখোঃ-
বিশেষ্য | বিশেষণ |
প্রকৃত ব্যথা মাটি বিশ্বাস মাঠ | প্রাকৃতিক ব্যথিত মেটে বিশ্বাসী/ বিশ্বস্ত মেঠো |
৭।সমোচ্চারিত বা প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লিখে বাক্যে প্রয়োগ করোঃ-
অর্থ বাক্য
ভাষা- মনের ভাবপ্রকাশের মাধম- বাংলা আমার মাতৃভাষা।
ভাসা- জলের ওপর ভাসা - শোলা জলে ভাসে।
পড়ে - পতিত হয়/পড়াশোনা করে- গাছ থেকে ফল পড়ে।
পরে- পরিধান করে - আমি কাপড় পরতে পারি না।
শংকর- শিব - আমি শিবের ভক্ত।
সংকর - মিশ্র ধাতু - সংকর ধাতু আমাদের কাজে লাগে।
মাথা- মস্তক - মাথা আমাদের শরীরের অঙ্গ।
মাতা – মা - মা জন্মভূমি ও স্বর্গের থেকে বড়ো।
বাঁশ- বংশ/ একধরনের গাছ - আমাদের একটি বাঁশবাগান আছে।
বাস- বাসস্থান - শিবরামবাটী গ্রামে আমার বাস।
৮. গল্পে বেশ কিছু পাখি ও গাছের নাম আছে। এই পাখি ও গাছের নামের তালিকা তৈরি করে এগুি সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে নামের পাশে পাশে লেখো। প্রয়োজনে শিক্ষক শিক্ষিকার সাহায্য নাও। এগুলি ছাড়াও তোমা জানা আরও কিছু পাখি আর গাছের নাম, তাদের বৈশিষ্ট্য লিখে নীচের ছকটি পূরণ করো।
পাখির নাম | আকার | রং | ঠোঁট | লেজ | পা | ঝুঁটি |
টুনটুনি | ছোটো | বেগুনি | সরু, লম্বা, বাঁকানো | ছোটো | সরু, লম্বা | নেই |
কাক | বড়ো | কালো | মোটা ও লম্বা | লম্বা | সরু | নেই |
এমু | বড়ো | ছাই | লম্বা ও মোটা | ছোটো | লম্বা ও সরু | আছে |
বক | বড়ো | সাদা | সরু ও লম্বা | ছোটো | সরু ও লম্বা | নেই |
শালিখ | ছোটো | ধূসর | সরু | ছোটো | সরু | নেই |
গাছের নাম | আকার | কী জাতীয় | পাতাগুলো কেমন | ফুল | ফল | কোথায় মেলে |
নারকেল | বড়ো | পর্ণমোচী | লম্বা ও সরু | মুকুল | রসাল | সর্বত্র |
আম | বড়ো | পর্ণমোচী | ছোটো | মুকুল | রসাল | সর্বত্র |
জাম | বড়ো | পর্ণমোচী | ছোটো | মুকুল | রসাল | সর্বত্র |
জাম | বড়ো | পর্ণমোচী | ছোটো | মুকুল | রসাল | সর্বত্র |
৯. নীচে কতকগুলি উপসর্গ দেওয়া হল। গল্প থেকে উপযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে এই উপসর্গগুলি যুক্ত করে কয়েকটি নতুন শব্দ তৈরি করো :
উপসর্গ | শব্দ | নতুন শব্দ |
বি | বাদ, জ্ঞান | বিবাদ,বিজ্ঞান |
প্র | মাদ,কার | প্রমাদ,প্রকার |
নি | আকার, আশা | নিরাপদ,নিরাশা |
সু | বাতাস,স্বর | সুবাতাস,সুস্বর |
আ | হার,বাস | আহার,আবাস |
১০. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ খুঁজে বের করো।
১০.১ পাঁচ সাত মাইলের ভিতর বঙ্গোপসাগর।
উত্তর:- পাঁচ , সাত।
১০.২ জনা ত্রিশেক ছেলেমেয়ে বসে আছে।
উত্তর:- ত্রিশেক।
১০.৩ সেদিকে তাকিয়ে একটি ছেলে আনমনা হয়ে পড়েছিল।
উত্তর:- একটি।
১০.৪ এক একদিন রাতে স্বপ্নের ভেতর সেও অমন ভেসে পড়ে।
উত্তর:- একা।
১১. নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বার করো। প্রতিটি বাক্যের ভিতর যেসব শব্দ আছে তাদের সঙ্গে কী কী বিভক্তি যুক্ত হয়েছে দেখাও :
১১.১ এখানে বাতাসের ভেতর সবসময় ভিজে জালের ঝাপটা থাকে।
উত্তর:- অনুসর্গ—ভেতর। বিভক্তি -বাতাসের = বাতাস + এর (বিভক্তি) । জলের -জল + (এর) বিভক্তি।
১১.২ মাটির মেঝে।
উত্তর:-বিভক্তি—মাটি + র (বিভক্তি)
১১.৩ সেই জানলা দিয়ে মেঘ দেখা যায় আকাশের।
উত্তর:- অনুসর্গ—দিয়ে। বিভক্তি—আকাশের আকাশ + এর (বিভক্তি)।
১১.৪ স্বপ্নের ভেতর সে খাট থেকে পড়েও যায়।
উত্তর:-অনুসর্গ—ভেতর। বিভক্তি—স্বপ্নের স্বপ্ন + এর (বিভক্তি)।
১১.৫ সে তার স্বপ্নের কথা আর কাউকে কখনও বলবে না।
উত্তর:- বিভক্তি—স্বপ্নের স্বপ্ন + এর (বিভক্তি।
১২. নীচের বাক্যগুলি থেকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ খুঁজে নিয়ে লেখো :
১২.১ আকন্দ বাড়ি স্কুলের ক্লাস ফাইভে বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন।
১২.২ স্কুলের সামনে ধানক্ষেতে রোয়া ধান সবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
১২.৩ গাঢ় ছাই রঙের বিরাট এক পাখি।
১২.৪ তন্ময় হয়ে শুনছিল শংকর।
১২.৫ এই খোলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়ো বই।
উদ্দেশ্য বিধেয়
১২.১ বিভীষণ দাশ আকন্দবাড়ি স্কুলের ক্লাস ফাইভে এমু পাখির কথা বলেছিলেন।
১২.২ স্কুলের সামনে ধান খেত রোয়াধান সবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
১২.৩ বিরাট এক পাখি গাঢ় ছাই রঙের।
১২.৪ শংকর তন্ময় হয়ে শুনছিল।
১২.৫ এই খোলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়ো বই।
১৩. 'কথা', 'চোখ'—এই শব্দগুলির প্রত্যেকটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখো:
উত্তর:- কথা--শপথ কথা দিলাম আমি আবার আসব।
কথা—বাক্য --আমরা বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে কথা বলি।
চোখ-আখি-চোখ দিয়ে আমরা দেখি ।
চোখ-মজর-চাকরটিকে চোখে চোখে রেখো।
১৪. নীচের বাক্যগুলির মধ্যে কোনটি সরল, কোনটি জটিল ও কোনটি যৌগিক বাক্য তা খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর:- ১৪. জানালায় কোনো শিক নেই।–সরল বাক্য ।
১৪.২ জেগে থাকতে দেখা আর স্বপ্নে দেখা জিনিস আজকাল শংকরের গুলিয়ে যাচ্ছে। যৌগিক বাক্য।
১৪.৩ পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে তখন খুব সাবধানে পা টিপে টিপে চলবে।—জটিলবাক্য
১৪.৪ বিভীষণ মাসাই যে তাকে এমন একটা কথা বলবেন তা ভাবতে পারেনি শংকর। জটিল বাক্য।
১৫. নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য তৈরি করে একটি অনুচ্ছেদের রূপ দাও:
গুঁড়ো, প্রকৃতি, জানলা, ডানা, ছায়া, শব্দ, স্বপ্ন, খোলামেলা।
এভাবে শুরু করতে পারোঃ
উত্তর:- বাইরে হাওয়ায় বৃষ্টির গুঁড়ো উড়ে বেড়াচ্ছে। জানালা দিয়ে একমনে তাকিয়ে দেখছে ঝিমলি। প্রকৃতি যেন রোজ নতুন নতুন সাজে এসে হাজির হয়। গাছে বসা সবুজ টিয়ার ডানায় মুক্তোর মতো বিন্দু বিন্দু জল। গাছের শীতল ছায়াৰ নীচে এক পৃথিক বিশ্রাম করছে। বাতাসের সাথে সাথে হালকা বৃষ্টির শব্দ ভেসে আসছে। প্রকৃতি পাগল ঝিমলি যেন ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখছে। খোলামেলা প্রকৃতি তাকে আকৃষ্ট করছে। সে ভাবছে হালকা বৃষ্টিকে উপভোগ করলে বেশ হয়।
১৬. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
১৬.১ পাগলা বাতাসে তার ঢেউয়ের গুঁড়ো সবসময়ে উড়ে আসছে'—এখানে বাতাসকে 'পাগলা' বলা হল কেন ?
উত্তর:- আকন্দবাড়ি স্কুলের অবস্থান বঙ্গোপসাগর থেকে ৫-৭ মাইল দূরত্বে। সামুদ্রিক আবহাওয়ায় বাতাস খামখেয়ালি আচরণ করে বলে উদ্ধৃত অংশে বাতাসকে 'পাগলা' বলা হয়েছে।
১৬.২ “বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন" গল্পের বিভীষণ দাশ এর পরিচয় দাও। এমু পাখি ছাড়া গল্পে আর কোন পাখির প্রসঙ্গ এসেছে।উত্তর:- 'সেনাপতি শংকর' গল্পে উল্লিখিত বিভীষণ দাশ আকন্দবাড়ি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।আলোচ্য গল্পে এমু পাখি ব্যতীত তিতির, পানকৌড়ি, শঙ্খচিল, হাঁড়িচাচা, ভৌখোল ইত্যাদি পানির প্রসঙ্গ এসেছে
১৬.৩ “শংকর বুঝল, কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে—কে এই শংকর? তার স্বভাবের তার যে কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে—এটা সে কীভাবে বুঝতে পারল?
উত্তর:- ‘সেনাপতি শংকর' গল্পে আকন্দবাড়ি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র শংকর। প্রকৃতি কেমন! শংকর
প্রকৃতিপ্রেমিক ও ভাবুক প্রকৃতির বালক। ক্লাসের পড়াশোনায় মনোযোগ না দিয়ে সে প্রকৃতি এবং পাখি
দেখে আনন্দ পায়।তার উত্তর শুনে মাস্টারমশাই হতে দেওয়ায় এবং বাক্ত করায় সে উপলব্ধি করতে পারে যে তার প্রদত্ত উত্তরেকোনো ভুল হয়ে গেছে।
১৬.৪ এমু পাখির যে বর্ণনা শংকর দিয়েছিল তার মধ্যে পাখিটির মিল বা অমন কি লেখো।
উত্তর: শংকরের কথায় এনুপাখি বাজপাখির থেকে বড়ো, তার বুক প্রশস্ত এবং সে ওড়ার সময় ডানা দিয়ে বাতাসকাটার জোের শব্দ হয়। অন্য পাখিরা আবার এমু পাখিকে ভয় পায়।প্রকৃতপনে এমু পাখি আকারে বড়ো। কিন্তু সে দৌড়ালেও উড়তে অক্ষম। তাই তাকে আমরা দৌঁড়বাজ পাখি বলি।
১৬.৫"এটা কি পঞ্চানন অপেরা পেয়েছ?" অপেরা' বলতে কী বোঝো? এখানে আপেরার প্রসঙ্গ এল কেন ?উত্তর:- অপেরা কথাটি আমরা গীতিনাট্য, যাত্রা বা থিয়েটারের দলকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করি।যাত্র৷ বা নাটকে অভিনেতা অভিনেত্রীরা প্রায়ই নিজের মন থেকে অনেক কথা বলেন। শংকর নিজের উদ্ভাবনী প্রতিভার মাধ্যমে এমু পাখির বর্ণনা নিচ্ছিল। ফলে অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে সাদৃশ্য কল্পনা করেমাস্টারমশাই প্রসঙ্গ এনেছেন।
১৬.৬ 'বলো, বলতেই হবে" কাকে একথা বলা হল? উদ্দিষ্টকে কোন কথা বলতে হবে বলে দাবি জানানোহয়েছে?উত্তর:- আকন্দবাড়ি স্কুলের প্রকৃতিবিজ্ঞান শিক্ষক বিভীষণ দাশ একথা শংকরকে বলেছেন।শংকরের কথায় সে ঘোলপুকুরে এমু পাখি দেখেছে। ধোলপুকুরে সবেদা গাছে এমু পাখি দেখার আজগুবি কথার সত্যতা নির্ণয় করার জন্য মাস্টারমশাই তাকে একথা বলার কথা বলেন।
১৬.৭ গল্প অনুসরণে আকন্দবাড়ি স্কুলে সে প্রকৃতিবিজ্ঞান ক্লাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিজের ভাষায় বলো।উত্তর:মাস্টারমশাই বিভীষণ দাশ আকন্দবাড়ি স্কুলের গণম শ্রেণিতে এই পাখি পড়াচ্ছিলেন। ছাত্র শংকর ক্লাসেরপড়ায় মন না নিয়ে জানালার বাইরে আকাশে ওড়া শঙ্খচিল পাখি দেখছিল। মাস্টারমশাই তার ভাবভঙ্গি লক্ করে তাকে এমু পাখি সম্বন্ধে প্রশ্ন করেন। সে মন থেকে বানিয়ে অবাস্তব কিছু বলায় শিক্ষক মশাই এর ধমকযায়। তার অবস্থা থেকে সারা ক্লাসের ছাত্ররা হেসে উঠে তাকে ব্যঙ্গ করতে থাকে।
১৬.৮ "স্বপ্নে সে অনেককিছু জানতে পেরেছে।" কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে? স্বপ্ন দেখে সে কী জেনেছে।উত্তরঃ- উদ্ধৃত অংশে শংকরের স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে। শংকরের দেখা স্বপ্নে বাড়িঘর খয়েরি রঙের এবংবাতাস নীল রঙের। সে আরও দেখেছে যে স্বপ্নের মধ্যে ধাক্কা বা গুঁতো খেলে শরীরে কোনো ব্যথা অনুভূত হয় না।।\
১৬.৯ 'পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে—তখন কীভাবে চলতে হবে।উত্তর:- পাখি দেখার জন্য মাঠে বা বাগানে ঘুরতে হলে খুব সাবধানে পা টিপে টিপে চলতে হবে যেন পায়ের শব্দনা হয়। জামা কাপড়ের রং শুকনো পাতার রং বা জলপাই রঙের হলে ভালো। এই রং গাছের পাতার সাথে মিশেথাকে। বেগুনি রঙের জামা হলেও ভালো। কারণ পাখি বেগুনি রং দেখতে পায় না।
১৬.১০ "তাদের কথা বলতে পারো?" এই প্রশ্নের সূত্র ধরে বক্তা শ্রোতা কথোপকথনের অংশটুকু নিজের ভাষায় লেখো।উত্তর:- বিভীষণ মাস্টারমশাই শংকরের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলেন যে সে পানকৌড়ি, তিতির, মাছরাঙা,
হাঁড়িচাচা, ডৌখোল ইত্যাদি নানাধরনের পাখি দেখেছে। তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার পরিচয় লাভ করে মাস্টারমশাই
সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রকৃতিকে দুচোখে উপভোগ করার উপদেশ দেন। মাস্টারমশাই মনে করেন প্রকৃতির
থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা আমাদের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে।
ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্নের উত্তর
পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়ন তুলি এর প্রশ্নের উত্তর