Ads

# Primary Education।। বাংলা(bangla)।। তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার(Totto chaner adventure)।।পার্ট-২(Part-2)Class-Four

 Primary Education।। বাংলা(bangla)।। তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার(Totto chaner adventure)।।পার্ট-১(Part-1)Class- Four 

তোত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার
তেৎসুকো কুরোয়ানাগি

পার্ট-২(Part-2) 



৯. নীচের বাক্যগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৯.১ তোত্তো-চান গাছের ওপরে উঠে কীভাবে সময় কাটাত?
উ:- তোত্তো-চানের গাছ ছিল বেড়ার ধারে যেখানে রাস্তাটা কুতনবুওসুর দিকে চলে গেছে ঠিক তার ধারে। গাছটির গা যুব পিছল। কিন্তু তোত্তো-চান গাছটার ছ-ফুট উঁচু ডালে উঠে ডালটা যেখানে ভাগ হয়ে গেছে সেখানে বসে টিফিনের সময় ও ছুটির পরে ওপরে আকাশ ও নীচে লোকজন দেখত।

৯.২ ছেলেমেয়েরা গাছগুলিকে কীভাবে আপন করে নিয়েছিল?
উ:- তোমোই-তে সবারই একটা করে গাছ ছিল। অর্থাৎ স্কুল চত্বরে যেসব গাছ ছিল ছেলেমেয়েরা সেগুলির প্রত্যেকটা দখল করে নিয়ে সবাই নিজেদের গাছ মনে করে চড়ত।

৯.৩ বন্ধুকে কীভাবে গাছে ওঠাবে বলে তোত্তো-চান পরিকল্পনা করেছিল ? 
উ:- তোত্তো-চানের বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানের পায়ে পোলিয়ো ছিল। তাই তোত্তো-চান একটি পরিকল্পনা করে। সে একটি মই নিয়ে এসে গাছটার গায়ে এমনভাবে ঠেকিয়ে রাখে যাতে ইয়াসুয়াকি-চান সহজেই গাছের ডালের নাগাল পায়।

৯.৪ টেলিভিশনের গল্প শুনে তোত্তো-চান কী ভেবেছিল? 
উ:- তোত্তো-চান ভেবেছিল যে একটা ঘরের ভেতর বাক্স তার মধ্যে সুমো কুস্তিগিরের দল কীভাবে থাকতে পারে। তা ভেবে পেল না। 

৯.৫ “এই প্রথম তোত্তো-চান বুঝতে পারল...”—তোত্তো-চান কী বুঝতে পারল? কাজটা কেন সহজ ছিল না,লেখো।
উ:- তোঙো-চান বুঝতে পারল ইয়াসুয়াকি-চানের হাত পা পোলিয়োর কারণে এতদূর অকেজো যে তাকে গাছে তোলাই দুষ্কর। ইয়াসুয়ারি-চানকে মইতে করে ওপরে তোলা একেবারেই সহজ কাজ নয়। কারণ ইয়াসুয়াকি-চান মইতে করে ওপরে উঠতেই পারবে না। তাই এভাবে যে তাকে গাছে তোলা খুব একটা সহজ নয় তা তোত্তো-চান বুঝল।

৯.৬ তোত্তো-চান তার বন্ধু ইয়াসুয়াকি-চানকে গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ করেছিল কেন? 
উ:-ইয়াসুয়াকি-চানের নিজস্ব কোনো গাছ ছিল না। কেননা তার হাত-পা পোলিয়োর কারণে অকেজো ছিল ফলে তার নিজস্ব গাছ ছিল না। কেউ তাকে গাছে চড়ার নিমন্ত্রণও জানায়নি। তাই তোত্তো-চান তাকে গাছে চড়ার নিমন্ত্রণ করেছিল।

৯.৭ দুই বন্ধু গাছের উপর বসে টেলিভিশন নিয়ে কী গল্প করেছিল?

উ:-ভোঙো-চান ও ইয়াসুয়াকি চান দুজনে মিলে টেলিভিশন নিয়ে গল্প করছিল। ইয়াসুয়াকি-চানের দিদি আমেরিকায় থাকত সেখানে টেলিভিশন বলে একটা যন্ত্র এসেছে। যেখানে ঘরের মধ্যে আর একটা বাক্স আছে। বাক্সের ভেতর গোটা পৃথিবী দেখা যায়। জাপানে টেলিভিশন আসলে তারা দুজনে সুমো কুস্তিগিরদের দেখতে পাবে। তোত্তো-চান এইরকম কোনো যন্ত্রের কথা শোনেনি। তাই ইয়াসুয়াকি চানের কথায় দারুণ অবাক হয়ে গেল।

৯.৮ তুমি তোমার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে যে ধরনের গল্প করো তা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
 
উ:-আমার প্রিয় বন্ধু স্বাতী। সে আমার সহপাঠী। সে আমার পাশে বসে। আমরা দুজনে একসঙ্গে খেলি। টিফিন ভাগ করে খাই, গল্পের বই ভাগাভাগি করে পড়ি। আমাদের আলোচনার একটা বড়ো বিষয় হল গল্পের বইয়ের পড়া বিষয়। তা ছাড়া আমি খেলা দেখতে খুব ভালোবাসি। আমরা দুজন সেই নিয়েও আলোচনা করি। একই সঙ্গে আমাদের প্রিয় খেলোয়াড় নিয়েও আলোচনা করি। তা ছাড়া আমার বন্ধুর খুব বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ, সে আমাকে বিজ্ঞানের নানা খবর দেয়। এসবই আমাদের লোচনার বিষয়। 

৯.৯ বাড়ি বা স্কুলের কোন গাছটা তোমার একেবারে নিজের বলে মনে হয়? সেই বন্ধুর যত্ন তুমি কীভাবে করো? 
উ:-বাড়ির ভেতর একটা বেলগাছ আছে যা আমার খুব প্রিয়। আমি এই গাছে 'রোজ জল দিহ। মাঝে-মাঝে খুরপি দিয়ে মাটি ওপর নীচ করে দি। যে ডালটায় ফুল আসে পরে সেই ডালের মুখটা ছেঁটে দিই। গাছটা আমার এত প্রিয় যে আমি রোজ রাতেও শোবার আগে গাছটা একবার দেখে নিয়ে তবে শুতে যাই। মাঝে মাঝে গাছে চায়ের পাড়াও দিই ওটা সারের কাজ করবে, গাছটা আরও ভালো হবে তাই দিই। এই গাছটা আমার বন্ধুর মতো। আমি স্কুল থেকে ফিরে গাছটার সঙ্গে গল্প করি। এমনকি আনন্দ-দুঃখ যাই হোক না কেন সবই ওকে বলে থাকি।

৯.১০ গাছে যদি তোমার একটি বাড়ি থাকত, তুমি কীভাবে সেখানে সময় কাটাতে কয়েকটি বাক্যে লেখো।
উ:-আমার যদি গাছে একটা বাড়ি থাকত খুব মজা হত। আমার নিজেকে অরণ্যদেব মনে হত। সেই বাড়িটায় আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠতাম বাড়িটায় একটা বারান্দা থাকত, সেই বারান্দায় বসে আমি দুরের আকাশ ও নীচের দৃশ্য দেখতাম। আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুকে এই বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানাতাম। দুজনে মিলে আমার গাছ বাড়িতে বাস বসে আচার খেতে খেতে গল্প করতাম।

১০. প্রতিশব্দ লেখো : গাছ, মাটি, সূর্য, রাস্তা, আকাশ।
উ:-গাছ-বৃক্ষ, মাটি-মৃত্তিকা, সূর্য-অরুণ। রাস্তা -পথ, আকাশ—নত। 

১১ বর্ণ বিশ্লেষণ করোঃ তরতর, ছোটোখাটো, ভয়ানক, লাজুক, অ্যাডভেম্বার।
উ:-তরতর–ত্ + অ + র্ +ত + অ + র্ 
ছোটোখাটো ছ + ও + ট্ + ও + খ + আ + ট্ + ও
ভয়ানক –ভ+অ+ য় +আ + ন + অ +ক 
লাজুক–ল + আ + জ + উ+ ক 
অ্যাডভেঞ্চার–অ + য + আ + ড + ভ+ এ+ ঞ+চ + আ + র 

১২. নীচের গদ্যটিতে যতিচিহ্ন ব্যবহার করো।

তোত্তো-চান ঘামে ভেজা চুল মুখের ওপর থেকে সরিয়ে মাথা নীচু করে ইয়াসুয়াকি চানকে আমন্ত্রণ জানালো স্বাগতম ইয়াসুয়াকিচান গাছের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে লাজুকভাবে হেসে বলল আসতে পারি ভেতরে ও তো কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি এর আগে গাছে ওঠা ব্যাপারটা তাহলে এইরকম বলে ও হাসল
উ:-তোরে-চান ঘামে ভেজা চুল মুখের উপর থেকে সরিয়ে মাথা নীচু করে ইয়াসুয়াকি-চানকে আমন্ত্রণ জানালোঃ 'স্বাগতম!' ইয়াসুয়াকি চান গাছের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে লাজুকভাবে হেসে বলল, 'আসতে পারি ভেতারে?' ও তো কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি এর আগে। 'গাছে ওঠা ব্যাপারটা তাহলে এইরকম।' বলে ও হাসল।

১৩. নীচের এক একটি বিষয় নিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি বাক্য লেখো : খেলা, গাছ, নেমন্তন্ন। 
উ:-খেলা—শিশুদের খেলা সব সময় প্রিয়। ক্রিকেট খেলা আমাদের দেশের জনপ্রিয় খেলা। আগুন নিয়ে খেলা কোরো না। খেলা খেলা মন নিয়ে কাজ কোরো না। ভাগ্য নিয়ত আমাদের নিয়ে খেলা করছে।
গাছ—গাছ লাগালে পরিবেশ রক্ষা পায়। গাছ হল প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ। গাছ অনেক উপকারী। গাছ আমাদের অক্সিজেন বোয়। বেশি করে গাছ পোঁতা দরকার। 
নেমন্তন্ন—শিয়াল বাঘের বাড়ি নেমন্তন্ন খেতে গেছিল। বন্ধুর জন্মদিনে আমার নেমন্তন ছিল। আমার দাদার বিয়েতে বন্ধুদের নেমন্তন্ন করলাম। তোমার কি কোথাও নেমন্তন্ন খাবার আছে। আমার বাড়িতে আজ কয়েকজনের নেমন্তন্ন আছে। 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section