সবার আমি ছাত্র
সুনির্মল বসু
৩.১ কার উপদেশে কবি দিলখোলা হন?
উঃ- কবি খোলা মাঠের উপদেশে দিলখোলা হন।
৩.২ পাষাণ কৰিকে কী শিক্ষা দিয়েছিল।
উ:- পাষাণ কবিকে কঠোর হবার শিক্ষা দিয়েছিল।
৩.৩ কবি কার কাছ থেকে কী ভিক্ষা পেলেন?
উ:- কবি শ্যামবনানীর কাছে সরসতার শিক্ষা পেলেন।
৩.৪ কে কবিকে মধুর কথা বলতে শেখাল?
উ:- কবিকে চাঁদ মধুর কথা বলতে শেখাল
৩.৫ নদীর কাছ থেকে কী শিক্ষা পাওয়া যায় ?
উ:-নদীর কাছে বহমানতার শিক্ষালাভ করা যায়, বহমানতার শিক্ষাই আমাদের জীবনকে নিত্য চলমান হবার শিক্ষা দেয়।
৪. সন্ধি করে লেখো:
৪. সন্ধি করে লেখো:
রত্ন+আকর=রত্নাকর।
মেঘ+আলোক=মেঘালোক।
কমলা + আসনা =কমলাসনা।
৫. সমার্থক শব্দ লেখো:
৫. সমার্থক শব্দ লেখো:
চাঁদ, সূর্য, পাহাড়, বায়ু, নদী, পৃথিবী, সাগর।
উ:-চাঁদ—নিশাপাত, সূর্য—দিনমণি, পাহাড়— অচল, বাঘ— মরুৎ, নদী—তরঙ্গিনী, পৃথিবী—মেনিনী, সাগর—সমুদ্র।
৬. বাক্য রচনা করো :
উদার, মহান, মন্ত্রণা, শিক্ষা, সহিয়তা, সন্দেহ, কৌতূহল, ঝরনা।
উ:- উদার—উদার হবার শিক্ষা মানুষকে মহান করে।
উ:- উদার—উদার হবার শিক্ষা মানুষকে মহান করে।
মহান—সকল মহান ব্যক্তিই আমাদের কাছে নমস্য।
মন্ত্রণা—রাজা মন্ত্রীদের সঙ্গে মন্ত্রণা না করে কোনো কাজ করতেন না।
শিক্ষা— শিক্ষা ছাড়া মানুষ অসম্পূর্ণ।
সহিঞ্চুতা —সহিঞ্চুতা মানুষের অন্যতম গুণ।
সন্দেহ—লোকটাকে দেখলে চোর বলে সন্দেহ হয় না।
কৌতূহল—সমুদ্রের ধারে জিনিসটা দেখে আমার দারুণ কৌতূহল হওয়ায় এগিয়ে গেলাম।
কৌতূহল—সমুদ্রের ধারে জিনিসটা দেখে আমার দারুণ কৌতূহল হওয়ায় এগিয়ে গেলাম।
ঝরনা—পাহাড়ি ঝরনার জল খেয়ে মন প্রফুল্ল হল।
৭.নীচের বিশেষণ বিশেষণ শব্দগুলির বিশেষ্য রূপ লেখো :
৭.নীচের বিশেষণ বিশেষণ শব্দগুলির বিশেষ্য রূপ লেখো :
কর্মী, মৌন, মধুর, কঠোর, বিরাট।
উঃ-
৮.নীচের বিশেষ্য শব্দগুলির বিশেষণ রূপ লেখোঃ-
বিশেষণ | বিশেষ্য |
কর্মী | কর্ম |
মৌন | মৌনতা |
মধুর | মাধুর্য |
কঠোর | কঠোরতা |
বিরাট | বিরাটাকার |
শিক্ষা, মন্ত্র, বায়ু, মাঠ, তেজ।
উঃ-
বিশেষ্য | বিশেষণ |
শিক্ষা | শিক্ষিত |
মন্ত্র | মন্ত্রণা |
বায়ু | বায়বীয় |
মাঠ | মেঠো |
তেজ | তেজস্বী |
৯. কবিতা থেকে সর্বনাম শব্দগুলি খুঁজে নিয়ে লেখো: (অন্তত ৫টি)
উ:- সবার, আমায়, আমি তাহার, সে।
১০ গদ্যরূপ লেখো :
১০.১ কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাইরে।
উ:- আমি কর্মী হবার মন্ত্র বায়ুর কাছে পেয়ে থাকি।
১০.১ কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাইরে।
উ:- আমি কর্মী হবার মন্ত্র বায়ুর কাছে পেয়ে থাকি।
১০.২ সূর্য আমায় মন্ত্রণা দেয় আপন তেজে জ্বলতে।
উ:-আমি সূর্যের কাছে নিজের তেজে জ্বলবার জন্য মন্ত্রণা পেয়ে থাকি।
১০.৩ ইঙ্গিতে তার শিখায় সাগর, অন্তর হোক রত্নআকর।
উ:-আমি সূর্যের কাছে নিজের তেজে জ্বলবার জন্য মন্ত্রণা পেয়ে থাকি।
১০.৩ ইঙ্গিতে তার শিখায় সাগর, অন্তর হোক রত্নআকর।
উ:-সাগর ইঙ্গিতে সব কিছু শেখায়, অন্তর রত্নআকর হোক।
১০.৪ শ্যামবনানী সরসতা আমায় দিল ভিক্ষা।
১০.৪ শ্যামবনানী সরসতা আমায় দিল ভিক্ষা।
উ:- আমার শ্যামবনানী সরসতা ভিক্ষা দিল।
১০.৫ শিখছি সে সব কৌতূহলে সন্দেহ নাই মাত্র।
উ:-যেসব কৌতূহলে শিখছি তাতে সন্দেহমাত্র নেই।।
১১. বিশ্বজোড়া পাঠশালা' বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে?
উ:-যেসব কৌতূহলে শিখছি তাতে সন্দেহমাত্র নেই।।
১১. বিশ্বজোড়া পাঠশালা' বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে?
উ: কবি সুনির্মল বসু রচিত 'সবার আমি ছাত্র' কবিতায় কবি বিশ্ব বিধাতার সৃষ্ট এই প্রকৃতির বিবিধ উপাদান যে আমাদের সকলের শিক্ষক তার বিভিন্ন উদাহরণ দিয়েছেন। কবি শুরু করেছেন আকাশ দিয়ে। আকাশের বিশাল উপরতা আমাদের ঔদার্যের শিক্ষা দেয়। বায়ুর কাছ থেকে আমরা কর্মী হবার মন্ত্রণা পেয়ে থাকি। পাহাড় এবং খোলা মাঠ আমাদের হবার উপদেশ দেয়। সূর্য চন্দ্র তাদের নিত্য অবিনশ্বরতার মধ্যেই আমাদের শিক্ষা দেয় তেজস্বী হবার, মিষ্টি মধুর কথা বলার আবার নদী দেয় বহমানতার শিক্ষা এবং সাগর দেয় জ্ঞানরত্ন সঞ্চয় করে প্রকৃত রত্নাকর হবার শিক্ষা। মাটি ও পাষাণ একটি কোমল অন্যটি কঠিন, একজন দেয় সহিষ্কতার শিক্ষা অন্যজন দেয় কঠোরতার শিক্ষা। শ্যাম বনানী এবং ঝরনা উভয়েই আমাদের শিক্ষক। একজন দেয় সরসতার শিক্ষা অন্যজন প্রাণে গান জাগানোর শিক্ষা।
কবির মতে সমগ্র বিশ্বজুড়ে প্রকৃতি ছড়িয়ে রেখেছে তার শিক্ষালয়। সবাইকে সে তার শিক্ষার ভাঙার খুলে দিয়েছে। সবাইকে সে দিতে চায় শিক্ষা। কিন্তু তার শিক্ষা কোনো পাঠ্য বইয়ের শিক্ষা নয়, তা প্রকৃত মানুষ হবার শিক্ষা। প্রকৃত অর্থে সেই শিক্ষাই আমাদের জীবনে চলার পথে প্রধান অবলম্বন । সঞ্জয় হয়ে ওঠে।
১২. প্রকৃতির কার কাছ থেকে আমরা কীরূপ শিক্ষা পেতে পারি লেখো :
১২. প্রকৃতির কার কাছ থেকে আমরা কীরূপ শিক্ষা পেতে পারি লেখো :
উঃ-
১৩. প্রকৃতির আরও কিছু উপাদানের কথা তুমি লেখো আর তাদের থেকে কী শিক্ষা তুমি নিতে পারো তা উল্লেখ করো।
উ:- মাটি, নদী, সবুজ বন, সাগর, পাথর, ঝরনা প্রভৃতি বিশ্বপ্রকৃতির নানা উপাদান। এইসব উপাদান থেকে আমরা বিভিন্ন শিক্ষালাভ করে থাকি। যেমন—মাটি দেয় সহিয়ু হবার শিক্ষা, নদী দেয় বেগবান হবার, বহমানতার শিক্ষা। সবুজ বন দেয় সরসতার নবীনতার শিক্ষা। আবার সাগরের শিক্ষা জ্ঞানার্জন করে প্রকৃত জ্ঞানী হবার শিক্ষা। পাথর দেয় কঠোর হবার শিক্ষা। আবার ঝরনা দেয় জীবন সংগীতের শিক্ষা। প্রকৃত জ্ঞানলাভের শিক্ষা।
১. আকাশ | উদারতার শিক্ষা দেয়। |
২. বাতাস | অক্সিজেন দেয়। |
৩. পাহাড় | মৌনতার শিক্ষা দেয়। |
৪. খোলামাঠ | বাতাস দেয়। |
৫. সূর্য | আলো ও উত্তাপ দেয়। |
৬. চাঁদ | আলো দেয়। |
১৩. প্রকৃতির আরও কিছু উপাদানের কথা তুমি লেখো আর তাদের থেকে কী শিক্ষা তুমি নিতে পারো তা উল্লেখ করো।
উ:- মাটি, নদী, সবুজ বন, সাগর, পাথর, ঝরনা প্রভৃতি বিশ্বপ্রকৃতির নানা উপাদান। এইসব উপাদান থেকে আমরা বিভিন্ন শিক্ষালাভ করে থাকি। যেমন—মাটি দেয় সহিয়ু হবার শিক্ষা, নদী দেয় বেগবান হবার, বহমানতার শিক্ষা। সবুজ বন দেয় সরসতার নবীনতার শিক্ষা। আবার সাগরের শিক্ষা জ্ঞানার্জন করে প্রকৃত জ্ঞানী হবার শিক্ষা। পাথর দেয় কঠোর হবার শিক্ষা। আবার ঝরনা দেয় জীবন সংগীতের শিক্ষা। প্রকৃত জ্ঞানলাভের শিক্ষা।
১৪. এমন একজন মানুষের কথা লেখো যার কাছ থেকে অহরহ তুমি অনেক কিছু শেখো :
উ:-আমার কাছে আমার ঠাকুমা হলেন সেই মানুষ যাঁর থেকে আমি অহরহ অনেক কিছু শিখি। তাঁর কাছ থেকে আমি ছোটোবেলায় যেমন গল্প শুনতাম এখন তেমনি পড়া শুনি। তিনি খুব চমৎকারভাবে যে কোনো কঠিন বিষয় সহজ করে দেন। শুধু তাই-ই নয়, তিনি অত্যন্ত ধৈর্যশীল। যে-কোনো বিষয় দারুণভাবে দক্ষতার সঙ্গে আমাকে বোঝান। না বুঝলে বারবার বোঝান। তিনি কখনও রাগেন না। বরং ধৈর্য ধরে আমার কথা শোনেন আমার প্রতিটি বিষয়ের কৌতূহল মেটান। তিনি অত্যন্ত স্নেহশীল । তিনি যে কোনো কষ্ট হাসিমুখে মেনে নেন, কখনও কাউকে কটু কথা বলেন না। কিন্তু অন্যায়কে কখনও প্রশয় দেন না। সেখানে তিনি দৃঢ়ভাবে সেসবের প্রতিবাদ করেন।