Geography General -Rural Development- 6th সেমিস্টার (Part -4 ) - পঞ্চায়েত সমিতি (Panchayat Samiti) ক্ষমতা ও কার্যাবলী (Powers and Functions of Panchayat Samiti) Rural Development -( ভূগোল ) Suggestion for 6th Semester of Calcutta University under CBCS System Geography Suggestions( BA General ) with Answer
BA 6th Semester Geography Suggestions(BA 6TH SEMESTER ভূগোল সাজেশন ) – প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই BA 6th Semester Geography Suggestions(BA 6TH SEMESTER ভূগোল সাজেশন ) Answer গুলি আগামী BA 6TH SEMESTER ভূগোল সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা BA 6TH SEMESTER ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভবনা আছে।
Rural Development
🌸🌹🌸🌹🌷🌺🌻
Geography
ব্যাখ্যামূলক / রচনাধর্মী প্রশ্নঃ
🌸🌹🌹🌸//////*******///////🌼🌺🌿🌿
পঞ্চায়েত সমিতি (Panchayat Samiti) ক্ষমতা ও কার্যাবলী (Powers and Functions of Panchayat Samiti)
🌸🌹🌹🌸//////*******///////🌼🌺🌿🌿
উত্তরঃ পঞ্চায়েত সমিতি (Panchayat Samiti):
1973 সালের পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইন অনুসারে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দ্বিতীয় স্তরে পঞ্চায়েত সমিতির অবস্থান। কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয় একটি ব্লক। প্রতিটি ব্লকে একটি করে পঞ্চায়েত সমিতি থাকে। ব্লকের নাম অনুসারে রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত সমিতির নামকরণ করেন।
• গঠন:-পঞ্চায়েত সমিতি গঠিত হয় নিম্নলিখিত সদস্যদের নিয়ে—
(1) ব্লকের অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানগণ।
(2) ব্লক এলাকা বা তার কোনো অংশ থেকে নির্বাচিত বিধানসভা ও লোকসভার সদস্যগণ এবং ব্লক এলাকায় বসবাসকারী রাজ্যসভার সদস্যগণ (মন্ত্রী বাদে)।
(3) প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকা থেকে নির্বাচকমণ্ডলীর দ্বারা অনধিক তিনজন নির্বাচিত সদস্য।
(4) ব্লকে বসবাসকারী রাজ্যসভার সদস্য।
(5) ব্লকের অন্তর্গত নির্বাচনী এলাকা থেকে জেলা পরিষদে নির্বাচিত সদস্যরা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হতে পারেন। কিন্তু জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হতে পারেন না।
পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসনের এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়াও তফসিলী জাতি ও উপজাতিদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
(a) প্রার্থীর অযোগ্যতা:- 1984 ও 1985 সালের সংশোধিত পঞ্চায়েত আইনে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কতকগুলি অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে
(1) প্রধান ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনো সদস্য, ন্যায় পঞ্চায়েত, জেলা porishod কোনো সদস্য পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হতে পারেন না। রাজ্য সরকার অথবা এই দুই সরকারের অধীনস্থ কোন সংস্থ ও দুর্ব্যবহারের জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত হলে, ঘটনার পাঁচ বছরের মধ্যে পঞ্চায়েতনামীয়
(2) কেন্দ্রীয় সরকার বা সদস্য হতে পারবেন না।
(3) আদালত কোনো ব্যক্তিকে দেউলিয়া বা উন্মাদ বলে ঘোষণা করলে তিনিও পঞ্চায়ত সদস্যপদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হন।
(4) গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের সঙ্গে স্বার্থজড়িত কোন চুক্তি বাে সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হতে পারেন না।
(5) দুর্নীতিমূলক অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি ছয় মাসের অধিক কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে পরবর পাঁচ বছর পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদের অযোগ্য বলে গণ্য হন।
(b) কার্যকালীন মেয়াদ ও পদচ্যূতি:- পদাধিকার বলে যাঁরা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হয়েছেন ইর ছাড়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্যান্য সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ 5 বছর। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও পদত্যাগ করতে পারেন।
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদে থাকাকালীন কোন সদস্য নিম্নলিখিত কারণে পদচ্যুত হতে পা চরিত্রহীনতা এবং ফৌজদারী অপরাধের জন্য 6 মাসের অধিক সময় কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে শর বিনা অনুমতিতে পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি সভায় পরপর অনুপস্থিত থাকলে বা বিকৃতমস্তিব্ধ, নেউটা ইত্যাদি বলে প্রমাণিত হলে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের অপসারিত করা যায়।
(c) সভাপতি ও সহকারী সভাপতি:- প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান কর্মকর্তা হলেন সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির প্রথম বৈধ অধিবেশনে সদস্যরা নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি ও অপর একজনকে সহকারী সভাপতি নির্বাচিত করেন। সমিতির এই অধিবেশনে মোট সদস্যের এক-চতুর্থাংশের উপস্থিতি প্রয়োজন। লোকসভা, রাজ্যসভা বা বিধানসভার কোনো সদস্য সভাপতি বা সহকারী সভাপতি হতে পারেন না। 1973 সালের পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনে সভাপতি ও সহকারী সভাপতির কার্যকালীন মেয়াদ ছিল 4 বছর। 1983 সালে এই আইন সংশোধন কর সভাপতি ও সহকারী সভাপতির কার্যকালীন মেয়াদ 5 বছর করা হয়েছে। তবে 5 বছরের পূর্বেও তাদের অপসারণ করা যায়। এর জন্য বিশেষ সভা ডাকা হয়। অপসারণের প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস সমর্থন করলে তাঁরা পদচ্যুত হন।
পঞ্চায়েত সমিতির আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজ যথাযথভাবে সম্পাদনের জন্য সভাপতিকে দায়ী থাকতে হয়। এছাড়াও সমিতির যাবতীয় কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ তাঁকেই সংরক্ষণ করতে হয়। যে সব কর্মচারী পঞ্চায়েত সমিতির কাজ করার জন্য রাজ্য সরকারের দ্বারা নিযুক্ত হন, তাঁদের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের যাবতীয় দায়িত্ব থাকে সভাপতির উপর। সমিতি যদি বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণ করে কিংবা রাজ্য সরকার নিয়মাবলী তৈরী করে বিশেষ কোন কর্তব্য সম্পাদনের দায়িত্ব সভাপতির হাতে প্রদান করে, তাহলে সভাপতি সেই দায়িত্ব সম্পাদন করেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে তাঁর সমস্ত কাজ সহকারী সভাপতি করেন। এছাড়াও সভাপতি লিখিতভাবে বিশেষ কোন কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব সহকারী সভাপতির উপর দিতে পারেন।
1978 সালে চতুর্থ পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত সংশোধনী আইনে প্রতি 3 মাস অন্তর পঞ্চায়েত সমিতির সভা আহ্বানের কথা বলা হয়েছে । সভার স্থান, তারিখ এবং সময় পূর্বের সভায় নির্ধারণ করা হয়। সভ্য জন্য সভাপতিকে 7 দিন আগে নোটিশ দিতে হয়। তবে জরুরী সভা আহ্বানের জন্য 3 দিন আগে নোটিশ দিলেই হয়। সভায় কোন প্রস্তাবের সপক্ষে ও বিপক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পড়লে সভাপতি নির্ণায়ক ভোট প্রদান করেন। সভাতে সভাপতিত্ব করেনসভাপতি। তাঁর অনুপস্থিতেতে সহ-সভাপতি সভার সভাপতিত্ব করেন। উভয়েই সভায় অনুপস্থিত থাকলে সমিতির উপস্থিত সদস্যরা নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে ঐ সভায় সভাপতির কাজ পরিচালনার জন্য নির্বাচিত করেন।
(d) পঞ্চায়েত সমিতির কর্মচারীগণ:- প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতিতে একজন করে কার্যনির্বাহী আধিকারিক (Executive Officer) থাকেন। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা B.D.O (Block Development Officer) তাঁর পদাধিকারবলে পঞ্চায়েত সমিতির কার্যনির্বাহী আধিকারিক হন। পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ সদস্য B.D.O-র অপসারণের দাবি জানালে রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব মেনে নেয়। B.D.O.ছাড়াও একজন সচিব এবং একজন যুগ্ম ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক থাকেন। পঞ্চায়েত সমিতি এছাড়াও রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমে কর্মচারী নিয়োগ করতে পারে। যুগ্ম ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক পঞ্চায়েত সমিতির দৈনন্দিন কাজকর্ম তত্ত্বাবধান করেন এবং কার্যনির্বাহী আধিকারিক পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ কর্মচারীদের কাজকর্মের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে কার্যনির্বাহী আধিকারিক কোন কর্মচারীকে বরখাস্ত বা অপসারণ বা পদাবনতি ঘটাতে পারে না। কোন শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মচারী শাস্তির বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতির নিকট আপীল করতে পারে। সমিতির সিদ্ধান্ত মনোনীত না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপীল করতে পারেন।
) স্থায়ী সমিতি:- যথাযথভাবে ও দ্রুত দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত সমিতিতে দশটি স্থায়ী সমিতি রয়েছে। 1992 সালের পঞ্চায়েত সংশোধনী আইনে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত এই দশটি স্থায়ী সমিতি হল
(I) অর্থ সংস্থা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতি;
(2) জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতি;
(3) পূর্তকার্য ও পরিবহন স্থায়ী সমিতি;
(4) কৃষি, সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতি;
(5) শিক্ষা, সংস্কৃতি তথ্য ক্রীড়া স্থায়ী সমিতি;
(6) ক্ষুদ্রশিল্প ও ত্রাণ স্থায়ী সমিতি;
(7) বন ও ভূমি সংস্কার স্থায়ী সমিতি;
(৪) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতি;
(9) খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ স্থায়ী সমিতি;
(10) বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি স্থায়ী কমিটি।
এছাড়াও, রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমে পঞ্চায়েত সমিতি যে কোন স্থায়ী সমিতি গঠন করতে পারে। প্রতিটি স্থায়ী সমিতি নিম্নলিখিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত—
(a) পদাধিকার বলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি,
(b) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের দ্বারা তাঁদের মধ্য থেকে নূন্যতম 3 জন এবং সর্বাধিক 5 জন নির্বাচিত সদস্য,
(c) রাজ্য সরকারের দ্বারা মনোনীত 3 জন রাজ্য সরকারী কর্মচারী। রাজ্য সরকারের মনোনীত এই কর্মচারীদের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। স্থায়ী সমিতির সদস্যরা নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। তাঁকে ‘কর্মাধ্যক্ষ” বলে অভিহিত করা হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদাধিকারবলে অর্থ ও সংস্থা স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন। লোকসভা ও বিধানসভার সদস্যরা কোন স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হতে পারেন না। কোন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হলে তাঁকে প্রধানের পদ পরিত্যাগ করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা নিযুক্ত পঞ্চায়েত সম্প্রসারণ আধিকারিক সমস্ত স্থায়ী সমিতির সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। গ্রামীন স্বায়ত্ত্বশাসন ব্যবস্থাকে অনিয়ম ও দুর্নীতির হাত থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে 2003 সালের জুলাই মাসে বামফ্রন্ট সরকার পঞ্চায়েত আইন সংশোধন করে প্রতিটি স্থায়ী সমিতিতে বিরোধী দলের সদস্যদের আবশ্যিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করেছে।
(1) সমন্বয় সমিতি:- সংশোধিত পঞ্চায়েত আইনে প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত সমিতিতে একটি সমন্বয় সমিতি গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
(1) সভাপতি,
(2) সহকারী সভাপতি,
(3) প্রতিটি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং
(4) পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাহী আধিকারিককে নিয়ে সমন্বয় সমিতি গঠিত হয়।
এই সমন্বয় সমিতির সচিবের দায়িত্ব পালন করেন পঞ্চায়েত সমিতির সচিব। পঞ্চায়েত সমিতির কার্যাবলীর সঙ্গে স্থায়ী সমিতি সমূহের কার্যাবলীর সমন্বয় সাধন এবং একটি স্থায়ী সমিতির কাজকর্মের সঙ্গে অন্যান্য স্থায়ী সমিতির কার্যাবলীর সমন্বয় সাধন সমিতির প্রধান কাজ। এছাড়া পঞ্চায়েত সমিতি সমন্বয় সমিতির উপর অন্য কাজের দায়িত্বও ন্যস্ত করতে পারে। আবার পঞ্চায়েত সমিতি যদি কোন কর্মসূচী কার্যকর করার দায়িত্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর ন্যস্ত করে থাকে, সেক্ষেত্রে সমন্বয় সমিতি সে বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে থাকে। সমন্বয় সমিতির মিটিং মাসে অন্ততঃ একবার করে ডাকতে হয়।
(g) ব্লক সংসদ:- 2003 সালের পঞ্চায়েত সংশোধনী আইনে প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে একটি ব্লক সংসদ গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই ব্লক সংসদ গঠিত হবে পঞ্চায়েত সমিতির সব সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্লকের সব গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যবৃন্দদের নিয়ে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে অধিকতর সুদৃঢ় করে তোলার জন্যই ব্লক সংসদের সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিকে তাদের নিম্নবর্তী স্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ব্লক সংসদের কাছে যাবতীয় হিসেব, বাজেট ও অডিট রিপোর্ট পেশ করতে হয়।
(h) ক্ষমতা ও কার্যাবলী:
(i) সাধারণ কার্যাবলী:-1973 সালের পঞ্চায়েতী আইনে পঞ্চায়েত সমিতির হাতে নিম্নলিখিত ক্ষমতাগুলি দেওয়া হয়েছে (1).কৃষি, পশুপালন, কুটিরশিল্প, সমবায় আন্দোলন, গ্রামীন ঋণ, জল সরবরাহ, সেচ, ঔষধালয় এবং
হাসপাতালসহ জনস্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ছাত্র কল্যাণসহ প্রাথমিক ও বয়স্ক শিক্ষা, সামাজিক সমৃদ্ধি
এবং অন্যান্য জনহিতকর উদ্দেশ্যে প্রকল্প গ্রহণ বা আর্থিক সাহায্য প্রদানসহ যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(১) যে কোন জনহিতকর কার্য পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা অথবা পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন পরিচালনা করা।
(2) ব্লকের অন্তর্গত যে কোন বিদ্যালয়, জনপ্রতিষ্ঠান বা জনকল্যাণকর সংগঠনকে অনুদান প্রদান করা।
(3) জেলা পরিষদ বা গ্রাম পঞ্চায়েতকে অর্থ সাহায্য করা।
(4) রাজ্য সরকারের দ্বারা আরোপিত যে কোন প্রকল্প বা কার্যক্রম অথবা যে কোন সংগঠন পরিচালনা করা।
(6) রাজ্য সরকারের অনুমোদনক্রমে ব্লকের অন্তর্গত যে কোন পৌরসভার দ্বারা জল সরবরাহ বা মহামারী প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থাদির ব্যয়নির্বাহের জন্য অর্থ সাহায্য করা।
(7) সমিতির অন্তর্গত এলাকায় প্রয়োজনে পাঠাগার স্থাপন।
(8) দৈবদুর্বিপাক বা সংকটকালীন পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত সমিতি ত্রাণকার্যের ব্যবস্থা করে।
(9) ব্লক এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন।
(10) পঞ্চায়েত সমিতি ব্লকের অন্তর্ভুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বাজেট পরীক্ষা ও অনুমোদন করে।
(11). একাধিক গ্রামে বিস্তৃত যে কোন প্রকল্পের দায়িত্বভার গ্রহণ ও পরিচালনা করা।
(ii) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব:- সাধারণ কার্যাবলী ছাড়াও পঞ্চায়েতের কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। এগুলি হল
(1) রাজ্য সরকার ব্লকের মধ্যে অবস্থিত যে কোনো রাস্তা, সেতু, খেয়াঘাট, খাল, ঘরবাড়ি বা অন্যান্য সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার দায়িত্ব পঞ্চায়েত সমিতির হাতে অর্পণ করতে পারে।
(2) পঞ্চায়েত সমিতির নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনাধীনে যে কোনো রাস্তা বা রাস্তার কিছু অংশ বা অন্য যে কোনো সম্পত্তি জেলা পরিষদ বা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে শর্তসাপেক্ষে রাজ্য সরকার হস্তান্তর করতে পারে।
(3) সুসংহত নগরায়ণ পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও তার বাস্তবায়ন।
(4) পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্ভুক্ত এলাকার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য সংগঠনের পরিচালক “সমিতিতে প্রতিনিধি প্রেরণ।
(5) গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থাবর সম্পত্তির পরিদর্শন করা বা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দেশে পরিচালিত কার্যাদির তত্ত্বাবধান করা।
(6) ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বা অন্য যে কোনো কর্তৃপক্ষের অধীন যে কোনো রাস্তা, পুকুর, সেতু প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার দায়িত্ব শর্তসাপেক্ষে গ্রহণ করা।
(7) পঞ্চায়েত সমিতির নিয়ন্ত্রণাধীন যে কোনো রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ করা এবং প্রয়োজন পড়লে রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমে তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।
(8) এলাকার স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তদারকি এবং নতুন গৃহ নির্মাণের জন্য নক্সার অনুমোদন দেওয়া।
(9) ব্লকের অধীনস্থ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির সাধারণ তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার পঞ্চায়েত সমিতির আছে।
(10) রাজ্য সরকারের দ্বারা ঘোষিত যে কোনো ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক ব্যবসা চালানোর জন্য বিশেষ
শর্তে লাইসেন্স মঞ্জুর এবং তা নবীকরণ।
(II) পঞ্চায়েত সমিতি, হাট, বাজার প্রভৃতি স্থাপনের জন্য লাইসেন্স প্রদান করতে পারে এবং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীর কাছ থেকে ফি আদায়ও করতে পারে।
ii) আয়ের উৎস:- পঞ্চায়েত সমিতির আয়ের উৎসগুলি হল
(1) রাজ্য সরকার
(2)জেলা পরিষদ ও রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত সমিতিকে প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য দিতে পারে। ব কর্তৃক প্রদত্ত ভূমি-রাজস্বের অংশ।
(3) যানবাহন এবং ফেরিঘাট থেকে প্রাপ্ত ধার্য শুল্ক।
(4) কেন্দ্রীয় সরকার
(5) পঞ্চায়েত সমিতি নিজস্ব সম্পত্তি জামিন রেখে ঋণ পেতে পারে। বা রাজ্য সরকার থেকে সংগৃহীত ঋণ।
=====================
TAG: Geography,B.A General,BA 6th Semester,
LINK: Geography-BA-General-B-A-6th-Semester
=====================
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা easystudy e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) Education General , BA 2nd Semester ( Education General ) Suggestions . HS Education suggestion , উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান ,