Ads

# Geography General -Rural Development- 6th সেমিস্টার (Part -6 ) - খরা প্রবণ অঞ্চলগুলির পরিকল্পনা (Drought Prone Area Programme) Rural Development -( ভূগোল ) Suggestion for 6th Semester of Calcutta University under CBCS System Geography Suggestions( BA General ) with Answer

     Geography General -Rural Development-   6th  সেমিস্টার (Part -6 )    - খরা প্রবণ অঞ্চলগুলির পরিকল্পনা (Drought Prone Area Programme)  Rural Development  -(  ভূগোল  )   Suggestion for 6th  Semester of Calcutta University under CBCS System Geography  Suggestions( BA General ) with Answer 




BA 6th Semester Geography  Suggestions(BA 6TH SEMESTER ভূগোল  সাজেশন ) –  প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই BA 6th Semester Geography Suggestions(BA 6TH SEMESTER ভূগোল সাজেশন )  Answer গুলি আগামী  BA 6TH SEMESTER ভূগোল সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা BA 6TH SEMESTER ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভবনা আছে।

 

Rural Development 

🌸🌹🌸🌹🌷🌺🌻 

 Geography 

ব্যাখ্যামূলক / রচনাধর্মী  প্রশ্নঃ 

🌸🌹🌹🌸//////*******///////🌼🌺🌿🌿

খরা প্রবণ অঞ্চলগুলির পরিকল্পনা (Drought Prone Area Programme)

 🌸🌹🌹🌸//////*******///////🌼🌺🌿🌿


উত্তরঃ  


        পৃথিবীতে জলবায়ুগত বিপর্যয়গুলির মধ্যে খরা (Drought) হল একটি। কোনো একটি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে বা দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি না হলে জলের অভাবজনিত কারণে যে শুষ্কতার অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে খরা (Drought) বলে। যে বছরের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০০ বছরের গড় বৃষ্টিপাতের ৭৫%-এর কম হয় সেই বছরকে খরা বছর (Drought Year) বলে, ও সেই অবস্থাকে জলবাযুগত খরা বলে। কোনো একটি অঞ্চলে খরা হওয়ার সম্ভাবনা ২০%-এর বেশি হলে তাকে 'খরা প্রবন অঞ্চল' (Drought Prone Area) বলে। আর দীর্ঘস্থায়ী খরা প্রবণ অঞ্চল বলতে বোঝায়, যে অঞ্চলে বছরে খরার সম্ভাবনা ৪০%-এর বেশি।


ভারতের খরা প্রবণ এলাকা: ভারতের মোট এলাকার ১৬% খরা প্রবণ এলাকা এবং মোট জনসংখ্যার ১২% খরার জন্য বিপর্যস্ত হয়। ভারতের ১০ লক্ষ বর্গ কিমি-এর বেশি এলাকায় খরার প্রবণতা দেখা যায়, যা কিনা ভারতের মোট এলাকার এক তৃতীয়াংশ। ভারতের ৭৭টি জেলায় বছরে ৭৫ সেমির কম বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, এই অঞ্চলগুলি প্রত্যেক দিন খরার বিপর্যয়ে ভীত, বিশেষত দীর্ঘস্থায়ী খরা প্রবণ অঞ্চলগুলিতে অতিরিক্ত জলসেচের জন্য কৃষিজমি প্রতিনিয়ত আরো বেশি অনুর্বর হয়ে উঠেছে। ভারতের ৭৭টি জেলায় বছরে ৭৫ সেমি-এর কম বৃষ্টিপাত হয় এবং এই অঞ্চলে ৩৪% শুধুমাত্র নীট রোপিত


অঞ্চল। এছাড়া মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের ২২টি জেলায় ৯% চাষযোগ্য জমি আছে, যেখানে বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭৫সেমি থেকে ৮৫ সেমি। এখানে বৃষ্টিপাতের কার্যকারিতা খুবই কম যা ওই অঞ্চলগুলোকে খরার প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষিত রাখতে অক্ষম। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উড়িষ্যায় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত (১০০-২০০ সেমি) হওয়া সত্ত্বেও বিপুল জনসংখ্যার জন্য এই রাজ্যগুলিতে খরা দেখা যায়। ভারতের খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলিকে মোট ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়


ক) মরুভূমি এবং অংশিক অনুর্বর অঞ্চল: ভারতের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল প্রধানত মরুভূমি এবং অংশিক অনুর্বর অঞ্চল রূপে পরিচিত। গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে উত্তর প্রদেশের কানপুর পর্যন্ত অংশ, উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে পাঞ্জাবের জলন্ধর পর্যন্ত অংশ, ভারতের পশ্চিমের আন্তর্জাতিক সীমানার পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে গুজরাটের কচ্ছের রান পর্যন্ত অংশ এবং রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলের মোট প্রায় ৬ লক্ষ বর্গ কিমি এলাকা বরাবর এই অঞ্চলটি বিস্তৃত। রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৫সেমি চেয়েও কম এবং অন্যান্য অঞ্চলগুলিতে বাৎসরিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৫সেমি থেকে ৭৫সেমি।


খ) বৃষ্টিছায় অঞ্চল: বৃষ্টিছায় অঞ্চলটি প্রধানত পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পূর্বদিকে অবস্থিত। এই অঞ্চলের গড় বাৎসরিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭৫সেমি-এর কম। কর্নাটকের পূর্ব অংশ, মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিমাংশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে এটি বিস্তৃত, এর মোট বিস্তার প্রায় ৩,৭০০০০ বর্গ কিমি ।


গ) বিক্ষিপ্ত খরাপ্রবণ অঞ্চল: উপরিউক্ত অঞ্চলগুলি ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন স্থানে খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলি বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত যার মোট ক্ষেত্রফল প্রায় ১ লক্ষ বর্গ কিমি। এই খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলি হল—তামিলনাড়ুর কয়েম্বাটুর এবং নেলাই (কোট্টানোম্মান জেলা), সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ অঞ্চল, উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি, ললিতপুর, বন্ডা (Banda), মীরজাপুর, কিলিভিত, খেরী এবং বাহরাইচ জেলা, ঝাড়খন্ডের পালামৌ অঞ্চল, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, উড়িষ্যার কালাহস্তী অঞ্চল, অরুণাচল প্রদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল এবং জম্মু কাশ্মীরের জম্মু ও উদ্দাসপুর অঞ্চল।


প্রকল্প(Project):


খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলির পরিকল্পনা (Drought Prone Areas Programme DPAP) হল একটি প্রাথমিক অঞ্চল উন্নয়ন কর্মসূচী যা ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রক' (Ministry of Rural Development) কর্তৃক ভারতের ক্ষতিগ্রস্থ খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলির খরা মোকাবিলার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছিল। এই সকল খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলির ঊষর প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষ ও গবাদি পশুদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এই অঞ্চলের প্রধান সমস্যাগুলি হল – উদ্ভিদের আবরণের ক্রমাগত হ্রাস, মাটির ক্ষয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং ভূগর্ভস্থ জলস্তরের পতন। এই প্রকল্পটি জলসাধারণের সম্পত্তি রক্ষা করতে পেরেছিল, তবে তেমন ভাবে খরার প্রতিকূল প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এছাড়াও, অনেকগুলি রাজ্য এই কর্মসূচির আওতায় অতিরিক্ত অঞ্চলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল। প্রকল্পের উদ্দেশ্য(Objective of DPAP):


ক) কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল খরাপ্রবণ অঞ্চলে ফসলের উৎপাদনের খরচ, পশুপালনের খরচ ও জমি, জল এবং মানব সম্পদের উৎপাদনশীলতার বিরূপ প্রভাব হ্রাস করা এবং এর ফলে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্থ খরা অঞ্চলগুলিকে স্থিতিশীলতা প্রদান করা।


খ) এই কর্মসূচির সার্বিক লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রচার করা, সম্পদের সম্প্রসারণ, প্রশস্তকরণ ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টনের মাধ্যমে কর্মসূচী অঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি এবং কর্মের সুযোগ বৃদ্ধি।


গ) ভূমি উন্নয়ন, জলসম্পদ বিকাশ এবং বনায়ন/চারণভূমির উন্নয়নের জন্য নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ। সরকারের সাম্প্রতিক তথ্যে নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির সুফল প্রকাশ পেয়েছে। খরাপ্রবণ অঞ্চল কর্মসূচির আওতায় গৃহীত প্রকল্পসমূহের মাধ্যমে জল সংরক্ষণ ও জলের সার্বিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাটির ক্ষয় রোধ  উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। প্রকল্পটি খরাপ্রবণ অঞ্চলের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করেছে।


কৌশল (Strategies):


প্রকল্পটির প্রধান কৌশল হল নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিগুলিকে খর অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কার্যকরি করা। এই কৌশলটির প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলঃ


ক) সম্পদের উন্নয়ন ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা।

খ) জমির উন্নতিকারণ ও উর্বরশক্তি বৃদ্ধি।

গ) মৃত্তিকা সংরক্ষণ।

ঘ) পুকুর, জলাশয় ও খালের উন্নয়ন।

ঙ) অরণ্য ও চারণভূমির উন্নয়ন।

চ) চাষের পদ্ধতি নয়া গঠন।

ছ) কৃষিসংক্রান্ত জিনিসের বৈজ্ঞানিক অনুশীলন।

জ) পশু সম্পত্তির উন্নয়ন।

ঝ) ছোটোখাটো বা পিছিয়ে পড়া কৃষক ও কৃষিজক্ষেত্রের শ্রমিকদের উপর নজরদারি।

ঞ) পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, ঋণের বন্দোবস্ত, নাগরিক সুযোগ সুবিধা যেমন— রাস্তা, পানীয় জল, প্রভৃতির উন্নয়ন।

ট) প্রকল্পটি নদী অববাহিকা ভিত্তিক কার্যকরী করা।

ঠ) নদী অববাহিকা ভিত্তিক প্রকল্প পরিচালনার উদ্দেশ্যে ৫০০ হেক্টর আয়তনের নদী অববাহিকা অঞ্চল চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে ৪-৫ বছরের মেয়াদে প্রকল্প গ্রহণ।

ড) নদী অববাহিকা চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে গ্রামীণ সীমানা চিহ্নিতকরণ। 

ঢ) পরিকল্পনায় জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং নদী অববাহিকা অঞ্চলগুলির “উন্নয়ন এবং প্রকল্পের পরবর্তী সময়ে সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ। 

ণ) পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা জেলা, ব্লক এবং গ্রাম পর্যায়ে প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা করে। পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা প্রকল্প বাস্তবায়নের এজেন্সি হিসাবেও কাজ করতে পারে। 


অর্থের উৎস (Source of money):


১৯৯৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের বিনিয়োগের অনুপাত ছিল ৫০ : ৫০, যা ১৯৯৯ সালের ১লা এপ্রিল থেকে ৭৫ : ২৫ হয়েছে। পূর্বেই বলা হয়েছে যে ন্যূন্যতম ৫০০ হেক্টর আয়তন যুক্ত নদী অববাহিকার ওপর এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের নদী অববাহিকা অঞ্চলগুলির জন্য বিভিন্ন মাত্রার অর্থের বিনিয়োগ করা হয়েছিল। ২০০০ সালের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে হেক্টর পিছু খরচ ৬০০০ টাকা করা হয়েছে। শুধুমাত্র ২০০০-২০০১ আর্থিক বর্ষের পর থেকেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়েছে। DPAP প্রকল্পের আওতায় ২০০৪ সালের মার্চ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ১৮৮০৩ টি অববাহিকা প্রকল্পে মোট ৪৮০৪.২০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৯৪.০১ লক্ষ হেক্টর জমির উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণ বিনিয়োগে আরো ৪৮০৩ টি প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ২০০৪-২০০৫ আর্থিক বছরে হরিয়ালি (Hariyali) প্রকল্পের অনুকরণে নতুন ২৫৫০ টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। এই নতুন প্রকল্পগুলি মোট ৭৬৫ কোটি টাকা ব্যায়ে মোট ১২.৭৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল।


ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা (History and Current Status):


ভারতের স্বাধীনতার আগে ১০ টি খরা বছর (১৮৭৭, ১৮৮৩, ১৮৯১, ১৯০১, ১৯০৫, ১৯০৭, ১৯১১, ১৯১৮, ১৯২০, ১৯৩৯, ১৯৪১) এবং স্বাধীনতার পর ৬টি খরা বছরের (১৯৬১, ১৯৬৫, ১৯৬৬, ১৯৭১, ১৯৭২, ১৯৭৪) ভয়াভয়তার ঘটনাকে পরবর্তী সময়তে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার খরাপ্রবণ অঞ্চলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭৭-৭৮ সালে ভারতের উষ্ণ মরু অঞ্চল (রাজস্থান, গুজরাত ও হরিয়ানা) ও শীতল মরু অঞ্চলের (জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ) জন্য মরু অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প' (Desert Development Programme-DDP) গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৯ সালে ভারতের ‘জাতীয় বর্জা উন্নয়ন বোর্ড' (National Wasteland Development Board)-এর উদ্যোগে পতিত জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় সমন্বিত নদী অববাহিকা উন্নয়ন প্রকল্প' (Integrated Watershed Development Programme-IWDP) গ্রহণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলির পরিকল্পনার (Drought Prone Areas Programme DPAP) ও 'মরু অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পর' (Desert Development Programme- DDP)কার্যকারিতা বিশ্লেষণের জন্য প্রফেসর সি এইচ হনুমন্তা রাও-এর নেতৃত্বে একটি প্রযুক্তিগত কমিটি নিয়োগ করা হয়। এই কমিটি তার জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এই দুটি প্রকল্পের অসন্তুষ্টিজনক কর্মদক্ষতার জন্য নিম্নলিখিত প্রধান কারণগুলিকে দায়ী করেছে:


ক) প্রকল্প দুটি ভারতে ক্ষেত্রগত ও বিক্ষিপ্ত পরিকল্পনা রূপে কাজ করেছে।

খ) বৃহৎ অঞ্চলের জন্য যথেষ্ট বরাদ্দের অভাব। গ) স্থানীয় জনগণের কম-বেশি বা অংশগ্রহণ না করে সরকারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়, যা এই প্রকল্প দুটিকে দুর্বল করে। 

ঘ) ক্রিয়াকলাপের বিস্তৃত বিন্যাস গ্রহণ সঠিকভাবে সংহত হয়নি ও সেগুলি প্রয়োজনীয়ভাবে পরিকল্পনার উদ্দেশ্যগুলির সাথে সম্পর্কিত ছিল না।


১৯৯৫ সালের ১লা এপ্রিল থেকে ভারতের পতিতজমি উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ‘নদী অববাহিকা উন্নয়ন' (Watershed Development) ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীকালে, রাজ্যগুলির প্রকল্প বাস্তবায়নের এজেন্সিগুলি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে গাইডলাইনগুলি ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে সংশোধিত হয়েছিল, যা 'Hariyali Guideline' নামে পরিচিত। পরবর্তী সময়ে, একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রাজ্য সরকারগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ পরামর্শে বৃষ্টিপ্রাপ্ত অঞ্চলগুলির জন্য সম্মিলিত কর্ম পরিকল্পনা তৈরির উপর জোর দেওয়া হয়।১/০৪/২০০৮ তারিখ থেকে হরিয়ালি গাইডলাইন' মেনে সারা ভারতে নদী অববাহিকার উন্নয়নের কর্মসূচী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ২৬/২/২০০৯ তারিখ থেকে ভারতের 'ভূমি সম্পদ বিভাগ' (Department of Land Resources)-এর অধীনে 'নদী অববাহিকা উন্নয়নের জন্য সাধারণ নির্দেশিকা' (Common Guidelines for Watershed Development) অনুযায়ী তিনটি নদী অববাহিকার উন্নয়নের পরিকল্পনা যথাক্রমে— 'খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলির পরিকল্পনা' (Drought Prone Areas Programme-DPAP), 'মরু অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প' (Drought Prone Areas Programme - DPAP) ও 'সমন্বিত নদীঅববাহিকা উন্নয়ন প্রকল্প (Integrated Watershed Development Programme - IWDP) গুলিকে একত্রিত করে ‘সমন্বিত নদীঅববাহিকা ব্যবস্থাপনা প্রকল্প') Integrated Watershed Management Programme – IWMP)নামে একটি বিস্তৃত প্রকল্প হিসাবে একীভূত করা হয়েছিল। অর্থাৎ, ডিপিএপি প্রকল্পটির একক অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। 



=====================

TAG: Geography,B.A General,BA 6th Semester,

LINK: Geography-BA-General-B-A-6th-Semester

=====================


আরো দেখো 👉 

 

BA 6th Semester Geography Suggestions  90% common  ||   কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 6th সেমিস্টার  ভূগোল সাজেশন  ||  90% common 
 ||




**** যদি কোন ভুল থেকে থাকে তবে তা   Typing mistake এর জন্য ।   আমাদের  comment   করে জানান  আমরা তা সংশোধন করে দেবার চেষ্টা করবো ****

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক  বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET  প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় । 

তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা  easystudy  e-Portal  এর সাহায্যে   সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে  Online Exam   Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো । 

এখানে মাধ্যমিকের মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ  , উচ্চ-মাধ্যমিক এর   ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর  ) বাংলা  , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত ,  ইতিহাস ,  , স্নাতক ( জেনারেল )  কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education ,  প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online  পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে । 

Calcutta University  Under CBCS ( system ) , Semester (II) Education General  , BA 2nd Semester ( Education General ) Suggestions . HS Education suggestion , উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান ,  

 


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section