Ads

# Geography General -Rural Development- 6th সেমিস্টার (Part -5 ) - জেলা পরিষদ (Zilla Parishad) ক্ষমতা ও কার্যাবলী (Powers and Functions of Zilla Parishad) Rural Development -( ভূগোল ) Suggestion for 6th Semester of Calcutta University under CBCS System Geography Suggestions( BA General ) with Answer

    Geography General -Rural Development-   6th  সেমিস্টার (Part -5 )    - জেলা পরিষদ (Zilla Parishad) ক্ষমতা ও কার্যাবলী (Powers and Functions of Zilla Parishad Rural Development  -(  ভূগোল  )   Suggestion for 6th  Semester of Calcutta University under CBCS System Geography  Suggestions( BA General ) with Answer 




BA 6th Semester Geography  Suggestions(BA 6TH SEMESTER ভূগোল  সাজেশন ) –  প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই BA 6th Semester Geography Suggestions(BA 6TH SEMESTER ভূগোল সাজেশন )  Answer গুলি আগামী  BA 6TH SEMESTER ভূগোল সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা BA 6TH SEMESTER ভূগোল পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভবনা আছে।

 

Rural Development 

🌸🌹🌸🌹🌷🌺🌻 

 Geography 

ব্যাখ্যামূলক / রচনাধর্মী  প্রশ্নঃ 

🌸🌹🌹🌸//////*******///////🌼🌺🌿🌿

জেলা পরিষদ (Zilla Parishad) ক্ষমতা ও কার্যাবলী (Powers and Functions of Zilla Parishad)

 🌸🌹🌹🌸//////*******///////🌼🌺🌿🌿


উত্তরঃ  

• গঠন:- পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত আইন অনুসারে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে জেলা পরিষদ। রাজ্য সরকার প্রত্যেক জেলার জন্য নাম অনুযায়ী একটি জেলা পরিষদ গঠন করে।। জেলা পরিষদ নিম্নলিখিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত


জেলা পরিষদ ZILLA PARISHAD

সভাপতি SABHADHIPATI

সহকারী সভাপতি SAHAKARI SABHADHIPATI

কর্মাধ্যক্ষ KARMADHAKSHYA

কার্যনির্বাহী আধিকারিক EXECUTIFFICER

জেলা কাউন্সিল DISTRICT COUNCIL

স্থায়ী সমিতি STHAYEE SAMITY

অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক ADDITIONAL EXECUTIVE OFFICER

সমন্বয় সমিতি SAMANNAY SAMITI

সেক্রেটারী | SECY, TO SS

(1) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিগণ পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য।

(2) জেলা থেকে নির্বাচিত মন্ত্রী ছাড়া লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার সদস্যগণ।

পি এস এস / জি পি এস PSS/Gps

(3)প্রতিটি ব্লক থেকে বিধানসভার নির্বাচকগণের দ্বারা 2 জন নির্বাচিত সদস্য। (4) জেলার মধ্যে বসবাসকারী মন্ত্রী ছাড়া রাজ্যসভার সদস্যগণ। (5)তফসিলী জাতি ও উপজাতি এবং মহিলাদের মধ্য থেকে কোন সদস্য নির্বাচিত না হলে

সরকারের মনোনীত 2 জন করে সদস্য। বর্তমানে জেলা পরিষদে প্রতি 60 হাজার ভোটদাতা পিছু একজন, 60 হাজার থেকে 1 লক্ষ 20 হাজারের অধিক ভোটদাতার জন্য দুইজন এবং 1 লক্ষ 20 হাজারের অধিক ভোটদাতার জন্য তিনজন সদস্য নির্বাচিত হবেন।এইভাবে নির্ধারিত হবে কোন পঞ্চায়েত সমিতি থেকেজেলা পরিষদে কতজন সদস্য নির্বাচিত হবেন।

(a) কার্যকাল ও পদচ্যুতি:- 1973 সালের পঞ্চায়েত আইনে বলা হয়েছিল যে, পদাধিকারবলে পরিষদের সদস্যগণ ছাড়া অন্যান্য সদস্যদের কার্যকালীন মেয়াদ হবে 4 বছর। 1983 সালের সংশোধিত আইনে অন্যান্য সদস্যদের কার্যকালীন মেয়াদ 4 বছর থেকে বাড়িয়ে 5 বছর করা হয়েছে। কার্যকাল 

b) জেলা সভাধিপতি এবং সহকারী জেলা সভাধিপতি:- জেলা পরিষদের প্রথম সভায় সদস্যরা তাদের নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে সভাধিপতি এবং একজনকে সহকারী সভাধিপতি হিসেবে নির্বাচন করেন। লোকসভা, রাজ্যসভা বা বিধানসভার কোন সদস্য সভাধিপতি বা সহকারী সভাধিপতি হাতে পারেন না। সংশোধিত পঞ্চায়েত আইন অনুসারে, জেলা পরিষদে তফসিলী জাতি, তফসিলী জাতি এবং মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। সভাধিপতি ও সহকারী অঞ্চল, উন্নয়ণ ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা সভাধিপতির কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে পদচ্যুত হলে বা মৃত্যু ঘটলে তাঁদের পদটি খালি হতে পারে। এছাড়াও তাঁরা পদত্যাগ করতে পারেন। এদের বিরুদ্ধে পদচ্যুতির প্রস্তাব আনা হলে তার জন্য বিশেষ আলোচনা সভা ডাকতে হয়। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তিনি সভায় সভাপতিত্ব করতে পারেন না। সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে পদচ্যুতির প্রশ্ন গৃহীত হলে অভিযুক্ত সভাধিপতি বা সহকারী সভাধিপতি পদচ্যুত হন। সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতি তাদের পদে থাকার সময় অন্য কোন চাকরি বা পেশা গ্রহণ করতে পারেন না। 1994 সালে রাজ্য সরকারের প্রণীত আইনে জেলা পরিষদের সদস্যদের ক্ষেত্রে ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।


(c) জেলা সভাধিপতি এবং সহকারী জেলা সভাধিপতির কার্যাবলী:- জেলা পরিষদের প্রশাসনিক প্রধান হলেন সভাধিপতি। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব সম্পন্ন পদাধিকারী। জেলা পরিষদের সভাধিপতি রাষ্ট্র মন্ত্রীর মর্যাদাযুক্ত। জেলা পরিষদের আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যাবলী যথাযথভাবে সম্পাদন করা। জেলা পরিষদের দলিল-দস্তাবেজ ইত্যাদি প্রস্তুত করা এবং রক্ষা করা, জেলা পরিষদের অধীনস্থ কর্মচারীদের কাজকর্মের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করাইত্যাদি জেলা সভাধিপতির প্রধান কাজ। সভাধিপতি যেসব কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব সহকারী সভাধিপতিকে অর্পণ করেন, সেইসব কাজ যথাযথভাবে সম্পাদন করা সহকারী সভাধিপতির প্রধান কর্তব্য বলে বিবেচিত হয়। সভাধিপতির অনুপস্থিতিতে তাঁর যাবতীয় ক্ষমতা এবং কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব থাকে সহকারী সভাধিপতির উপর।


(d) কার্যনির্বাহী আধিকারিক, অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক ও অন্যান্য কর্মচারী:- 

জেলা পরিষদের দৈনন্দিন কার্যাবলী পরিচালনার জন্য রাজ্য সরকারের দ্বারা নিযুক্ত একজন কার্যনির্বাহী আধিকারিক (Executive Officer) থাকেন। তাঁকে কাজে সাহায্য করার জন্য প্রতিটি জেলা পরিষদে একজন অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক ( Additional Executive Officer) থাকেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যনির্বাহী আধিকারিকের পদে নিযুক্ত থাকেন। তাঁকে অপসারণও করা যায়। এই ব্যাপারে জেলা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কোন প্রস্তাব গ্রহণ করলে রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট কার্যনির্বাহী আধিকারিককে প্রত্যাহার করে নেন। কার্যনির্বাহী আধিকারিক ও অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক ছাড়াও জেলা পরিষদের একজন কর্মসচিব (Secretary) থাকেন।এছাড়াও জেলা পরিষদের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি অনুসারে জেলা পরিষদ প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিযুক্ত করতে পারে। জেলা পরিষদের কর্মচারীদের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা কার্যনির্বাহী আধিকারকের প্রধান কাজ বলে বিবেচিত হয়। তবে তিনি কোনো কর্মচারীকে বরখাস্ত করতে, পদচ্যুত করতে বা তার পদের অবনতি ঘটাতে পারেন না। তবে কার্যনির্বাহী আধিকারিক কোন কর্মচারীকে বরখাস্ত করতে বা তার পদাবনতির জন্য জেলা পরিষদের স্থায়ী অর্থ ও সংস্থা সমিতির কাছে সুপারিশ করতে পারেন। সেই সুপারিশ বিবেচনা করে ঐ সমিতি জেলা পরিষদের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে পারে। জেলা পরিষদ সেই রিপোর্ট বিচার-বিবেচনা করে ঐ কর্মচারীকে বরখাস্ত করতে পারে অথবা তার পদাবনতি ঘটাতে পারে। কার্যনির্বাহী আধিকারিকের দ্বারা শাস্তি প্রাপ্ত যে কোন কর্মচারী জেলা পরিষদের কাছে আপীল করতে পারে। আবার জেলা পরিষদের শাস্তিদানের বিরুদ্ধেও যে কোন কর্মচারী রাজ্য সরকারের কাছে আপীল করতে পারে।


(e) জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি:- প্রত্যেকটি জেলা পরিষদেও পঞ্চায়েত সমিতির মতো কতকগুলি স্থায়ী সমিতি আছে। এই সমস্ত সমিতির মাধ্যমে জেলা পরিষদের সমস্ত বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচিত।

বিবেচিত হয়। এই স্থায়ী সমিতিগুলি হল 


1) অর্থ সংস্থা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতি;

(2) স্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতি; 

(3) পূর্বকায় ও পরিবহন স্থায়ী সমিতি;

(4) কৃষি, সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতি;

(5) শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্য ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতি;

 (6) ক্ষুদ্র শিল্প ও ত্রাণ স্থায়ী সমিতি; 

7) বন ও ভূমিসংস্কার স্থায়ী সমিতি;

(8) মৎ‍স্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতি;

(9) খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ স্থায়ী সমিতি; 

(10) শিশু ও নারী উন্নয়ন এবং জনকল্যাণ স্থায়ী সমিতি; 

(11) বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তি স্থায়ী সমিতি।


এছাড়াও জেলা পরিষদ রাজ্য সরকারেরঅনুমতিসাপেক্ষে অন্যান্য যে কোন স্থায়ী সমিতি গঠন করতে পারে


"জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতি পদাধিকারবলে প্রতিটি স্থায়ী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। প্রত্যেকটি স্থায়ী সমিতিতে জেলা পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে কমপক্ষে তিনজন এবং সর্বাধিক পাঁচজন সদস্য থাকেন। এছাড়াও রাজ্য সরকারের মনোনীত অনধিক তিনজন কর্মচারী স্থায়ী কমিটিতে নিযুক্ত থাকেন। সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতি ষষষষ ছাড়া অন্য কেউ দুটির বেশি স্থায়ী সমিতির সদস্য হতে পারেন না। জেলা পরিষদের সচিব পদাধিকার বলে প্রত্যেক স্থায়ী কমিটির ‘কর্মসচিব’ হন। প্রতিটি স্থায়ী সমিতির সদস্যগণ নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি হিসেবেনির্বাচিত করেন। তাঁকে ‘কর্মাধ্যক্ষ' বলাষষষষ হয়। জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির সদস্যদের কার্যকালীন মেয়াদ পাঁচ বছর। স্থায়ী সমিতির কর্মসচিবগণ কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে সংশ্লিষ্ট স্থায়ী সমিতির সভা ডাকতে পারেন।


গ্রামীন স্বায়ত্তশাসনব্যবস্থাকে অনিয়ম ও দুর্নীতির হাত থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে 2003 সালের জুলাই মাসে বামফ্রন্ট সরকার পঞ্চায়েত আইন সংশোধন করে প্রতিটি স্থায়ী সমিতিতে বিরোধী দলের সদস্যদের আবশ্যিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করেছেন। জেলা পরিষদের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্থয়ী সমিতি অর্থাৎ অর্থ, সংস্থা, উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতিতে জেলা পরিষদে নির্বাচিত সর্বাপেক্ষা বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতা বা নেত্রীকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হয়।


(1) সমন্বয় সমিতি:- প্রতিটি জেলা পরিষদে একটি করে সমন্বয় সমিতিও থাকে। প্রতিটি সমন্বয় সমিতি গঠিত হয়—


(i) সভাধিপতি,

(ii) সহকারী সভাধিপতি,

(ii) প্রতিটি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ,

(iv) কার্যনির্বাহী আধিকারিক এবং 

(v) অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিককে নিয়ে।


কাজ হল জেলা পরিষদের কার্যাবলীর সঙ্গে বিভিন্ন স্থায়ী সমিতির কার্যাবলীর সমন্বয়সাধন করা এবং জেলা পরিষদের সচিব সমন্বয় সমিতির সচিব হিসেবে কাজ করেন। এই সমন্বয় সমিতির একটি স্থায়ী সমিতির কার্যাবলীর সঙ্গে অন্যান্য স্থায়ী সমিতির কার্যাবলীর সমন্বয় সাধন। এছাড়াও জেলা  140


পরিষদ যে কোনো দায়িত্ব বা কাজ সমন্বয় সমিতকে দিতে পারে। প্রতি মাসে অন্ততঃ একবার করে সমন্বয় সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়।


(g) জেলা সংসদ:- 2003 সালের জুলাই মাসে পঞ্চায়েত সংশোধনী আইনে প্রতিটি জেলা পরিষদ স্তরে একটি করে জেলা সংসদ গঠনের কথা বলা হয়েছে। জেলা সংসদের সদস্যরা হলেন


(i) প্রতিটি জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানগণ,

(ii) পঞ্চায়েত সমিতিগুলির সভাপতিগণ,

 (iii) পঞ্চায়েত সমিতিগুলির সহকারী সভাপতিগণ,

(iv) পঞ্চায়েত সমিতিগুলির কর্মাধ্যক্ষগণ এবং

(v) জেলা পরিষদের সকল সদস্য। প্রতি বছর জেলা সংসদের অন্তত দুইবার বৈঠক করতে হয়। এই বৈঠকে সমস্ত হিসেব, বাজেট ও অডিট পেশ করা হয়।

(h) ক্ষমতা ও কার্যাবলী:-জেলা পরিষদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী ব্যাপক। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীগুলি হল


(1) ব্লকের অন্তর্ভুক্ত পঞ্চায়েত সমিতিগুলির রচিত উন্নয়ন পরিকল্পনা সমূহের মধ্যে সংহতি ও সমন্বয় সাধন করা জেলা পরিষদের প্রাথমিক দায়িত্ব।

(2) কৃষি, পশুপালন, কুটিরশিল্প, সমবায় আন্দোলন, গ্রামীন ঋণ, জল সরবরাহ, সেচ, ঔষধালয়,হাসপাতাল, জনস্বাস্থ্য, যোগাযোগ, সমাজ কল্যাণ এবং অন্যান্য সর্বজনীন জনহিতকর উদ্দেশ্যেপ্রকল্প গ্রহণ করা এবং আর্থিক সাহায্য প্রদানসহ যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(3) রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন রাস্তাঘাট, খাল, সেতু, খেয়াঘাট প্রভৃতি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা।

(4) প্রাথমিক ও বয়স্ক শিক্ষা এবং ছাত্র কল্যাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

(5) রাজ্য সরকার বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ যে কোন প্রকল্প নির্বাহ বা যে কোন কর্তব্য সম্পাদন বা সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব দিলে সেই দায়িত্ব পালন করা। 

(6) জেলা উন্নয়ন ও নিম্নতর পঞ্চায়েত সংস্থাগুলির ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দান।

(7) পঞ্চায়েত সমিতি অথবা গ্রাম পঞ্চায়েতসমূহকে অনুদান প্রদান করা।

 (৪) পঞ্চায়েত সমিতির বাজেট পরীক্ষা ও অনুমোদন এবং প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের সঙ্গে একযোগে কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা রূপায়নের ব্যবস্থা করতে পারে।

(9) যে কোন জনহিতকর কার্য পরিচালনা করা কিংবা জেলা পরিষদের পরিচালনাধীন যে কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বা রক্ষণাবেক্ষণ করা।

 (10) জেলার অধিবাসীদের সুবিধার্থে জেলার বাইরে অবস্থিত যে কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা সংক্রান্ত ব্যয়নির্বাহের জন্য অর্থ প্রদান করা।

(11) সাধারণ পাঠাগার, স্কুল ও অন্যান্য জনকল্যাণ সংস্থাকে অনুদান প্রদান করা। 

(12) গ্রামীন হাট-বাজারের মালিকানা গ্রহণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা।

(13) বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা।

(14) পৌরসভার সাহায্যে জলসরবরাহের ব্যবস্থা করা।

 (15) মহামারী প্রতিরোধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(16) আতদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা গ্রহণ। পরিষদ একাধিক ব্লকে বিস্তৃত প্রকল্পের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। রাস্তা পৌরসভার মধ্য দিয়ে অন্যত্র গেছে রাজ্য সরকার প্রয়োজনবোধে সেইসব রাস্তার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার দায়িত্ব পৌরসভার থেকে জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেেত পারে। (IS) যে সব 

(19) ব্যক্তিগত বা অন্য যে কোন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন রাস্তা, সেতু, পুকুর, খাল, নদনা প্রভৃতির নিয়ন্ত্রণ ও । পরিচালনার দায়িত্ব কিছু শর্তসাপেক্ষে নিজের হাতে রাখতে পারে।

(211) নিজস্ব নিয়ন্ত্রণাধীন ও পরিচালনাধীন যে কোন রাস্তা জেলা পরিষদ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে পারে এবং রাজ্য সরকারের অনুমতি থাকলে তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতেও জেলা পরিবা সক্ষম।

(21) নিজস্ব নিয়ন্ত্রণাধীন ও পরিচালনাধীন যে কোন রাস্তা বা রাস্তার অংশ যে কোন সম্পত্তি পারস্পরিক চুক্তি অনুযায়ী রাজ্য সরকার, পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতকে হস্তান্তর করতে পারে।

 (22) 1880 সালের বঙ্গীয় টিকা আইনের 25 নং ধারায় বর্ণিত যে সব ক্ষমতা জেলাশাসকের হাতে দেওয়া হয়েছে, সেইসব ক্ষমতা বা সেগুলির মধ্যে যে কোনো ক্ষমতা ব্যবহার করা।

((23) দুই বা ততোধিক জেলা পরিষদ চুক্তি অনুযায়ী যে কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বা পরিকল্পন গ্রহণ করতে পারে।

(24) জেলা পরিষদের অধীনস্থ পঞ্চায়েত সমিতির স্থাবর সম্পত্তি পরিদর্শন করা বা সমিতির নির্দেশে পরিচালিত কার্যাদির তত্ত্বাবধান করা।

(25) যে কোনো আনন্দ অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দেওয়া এবং তারজন্য ফি আদায় করা।

 (26) পঞ্চায়েত সমিতির কোন প্রকল্প বা কর্মসূচিকে রূপায়িত করার জন্য রাজ্য সরকারের প্রদত্ত অর্থের যথাযথ ব্যবহার হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা।

 (27) নতুন পঞ্চায়েত আইনে গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্মের উপর তদারকি, সতর্ক নজরদারি ও প্রয়োজনমত নিয়ন্ত্রণ আরোপের ক্ষমতা জেলা পরিষদকে দেওয়া হয়েছে।


(i) আয়ের উৎস:- জেলা পরিষদের আয়ের উৎসগুলি হল—

 (1) রাজ্য সরকারের প্রদত্ত ভূমি রাজস্বের অংশ।

(2) খেয়া, যানবাহন ও জন্তু-জানোয়ারের উপর শুল্ক।

(3) যানবাহন ও নৌকার রেজিস্ট্রি ফি।

(4) জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত স্কুল, হাসপাতাল, ঔষধালয়, ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান বাকলকারখানা থেকে প্রাপ্ত আয়।

(5) পথকর ও পূর্তকর থেকে প্রাপ্ত আয়।

(6) কোনো কাজের জন্য জরিমানা ধার্য হলে তার থেকে প্রাপ্ত

 (7) পানীয় জল এবং সেচের জলের জন্য আদায়ীকৃত কর। আয়।

(৪) রাস্তাঘাট আলোকিত করার জন্য প্রাপ্ত কর।

(9) দান বা সাহায্য হিসেবে প্রাপ্ত আয়।

(10) জেলাশাসকের কাছে গচ্ছিত চৌকিদারি পুরস্কার তহবিলের উদবৃত্ত অর্থ। 

(II) জেলা পরিষদ রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে নিজেও ঋণ গ্রহণ করতে পারে।

সাযুজ্য রক্ষা করে 1992 সালে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইন সংশোধনের মাধ্যমে নতুন পঞ্চায়েত আইনে পঞ্চায়েতের উপর আর্থিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য অর্থ কমিশন গঠন ও অডিটর নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আইনের 206 নম্বর ধারা অনুসারে আইনবিদ,অর্থনীতিবিদ, প্রশাসক, বিশিষ্ট সমাজকর্মী বা রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্য থেকে অনধিক 5 জনকে নিয়ে রাজ্য সরকার এই অথ কমিশন গঠন করতে পারে। অর্থ কমিশনের সভাপতি এবং অন্যান্য সদস্যদের কার্যকাল এক বছর। তবে এই মেয়াদ রাজ্য সরকার ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করতে পারেন। যে কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে চাইলে রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিবের কাছে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র পেশ করতে হয়। যতদিন পর্যন্ত পদত্যাগপত্র গৃহীত না হয়, ততদিন সদস্যরা পদত্যাগ করতে পারেন না।

এই অর্থ কমিশনের কাজ হল গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আর্থিক অবস্থা বিচার-বিবেচনা করা এবং সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা। রাজ্য সরকার অর্থ কমিশনের সুপারিশ সংশোধনসহ গ্রহণ করতে পারে অথবা বিনা সংশোধনেও গ্রহণ করতে পারে। এপর সরকারী গেজেটে রাজ্য সরকার সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ঐ বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার দিন থেকে এই কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হয়।

(k) সমালোচনা: পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা বহুদিক থেকে সমালোচিত হয়েছে, যেমন— (1) দলীয় সংকীর্ণতা পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। মানুষের কল্যাণের পরিবর্তে দলের শক্তি কিভাবে বাড়াবে পঞ্চায়েত সেইদিকে বেশি নজর দিয়েছে।

(2) পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানগুলির উপর ব্যাপক সরকারি নিয়ন্ত্রণ পঞ্চায়েতের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছে।

(3) পঞ্চায়েতী ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে। সদস্যরা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দের একটা অংশঅনেক ক্ষেত্রেই আত্মসাৎ করছে।

(4) অনেকেরই অভিযোগ, কার্যপরিচালনার ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নিয়মিতভাবে হিসাবপত্র পেশ করতে পারছে না। 

(5) পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পঞ্চায়েত আইনে পদস্থ আমলাদের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

(6) কর আদায়ের অধিকার পঞ্চায়েতকে দেওয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কারণে সেই কর আদায় সম্ভব হচ্ছে না।


(1) মূল্যায়ন:-সমালোচিত হলেও পঞ্চায়েতী ব্যবস্থা বর্তমানে গ্রামীন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিদ্যালয় সংস্কার, নলকূপ খনন, রাস্তাঘাট পুননির্মাণ, ভূমি সংস্কার, বয়স্কদের ভাতা প্রদান, গ্রামীন জল সরবরাহ, ছোটোখাটো বিরোধের মীমাংসা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রসার প্রভৃতি ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সাফল্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র কুমার দে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলেবসবাসকারী জনগণের জন্য পঞ্চায়েত যে সব কাজ করেছে, তা সত্যই প্রশংসনীয়। গ্রামীন জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই পরিকল্পনা দীর্ঘদিন আগেই করাউচিত ছিল। নেইল ওয়েবস্টার (Nei Webster), জি. কে. লিটেন (G.K. Lieten), অমর্ত্য সেন প্রমুখ বিশেষজ্ঞরাও পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার বহুমুখী ও গণমুখী কাজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এমনকি ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও বলেছেন, অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভালো কাজ করছে। পঞ্চায়েতী রাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞানী কোঠারীকে অনুসরণ করে 



=====================

TAG: Geography,B.A General,BA 6th Semester,

LINK: Geography-BA-General-B-A-6th-Semester

=====================



 

BA 6th Semester Geography Suggestions  90% common  ||   কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 6th সেমিস্টার  ভূগোল সাজেশন  ||  90% common 
 ||




**** যদি কোন ভুল থেকে থাকে তবে তা   Typing mistake এর জন্য ।   আমাদের  comment   করে জানান  আমরা তা সংশোধন করে দেবার চেষ্টা করবো ****

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক  বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET  প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় । 

তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা  easystudy  e-Portal  এর সাহায্যে   সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে  Online Exam   Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো । 

এখানে মাধ্যমিকের মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ  , উচ্চ-মাধ্যমিক এর   ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর  ) বাংলা  , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত ,  ইতিহাস ,  , স্নাতক ( জেনারেল )  কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education ,  প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online  পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে । 

Calcutta University  Under CBCS ( system ) , Semester (II) Education General  , BA 2nd Semester ( Education General ) Suggestions . HS Education suggestion , উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান ,  

 


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section