Ads

Primary Education।। রচনা শিক্ষা।। পশুদের রচনা।। গরু।। কুকুর।। বিড়াল।। হাতি।। বাঘ ।। ময়ূর

Primary Education।। রচনা শিক্ষা।। পশুদের রচনা।। গরু।। কুকুর।। বিড়াল।। হাতি।। বাঘ ।। ময়ূর 



রচনা শিক্ষা 

কোনো বিষয়কে সাজিয়ে বর্ণনা করার নামই রচনা। যে বিষয়ে লিখতে হবে, সে বিষয় ভালোভাবে চিন্তা করে নিতে হবে। যে যে বিষয় বলতে হবে, তার মধ্যে আগে ঠিক বলতে হবে এবং পরে কি বলতে হবে তা নিজের মানের সবার আগে ঠিক করে নিতে হবে। কোনো বিষয় থাকে একবারের বেশি বলা না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখা উচিত। 

           ধরো, গোলুর বিষয় লিখছি। প্রথমে বললাম- গোৰু চতুষ্পদ জন্তু। এই কথা বলার পর আবার যদি বলি- তার চারটি পা আছে, তবে আগে বলা কথাটাই আবার, বলা হল না কি? সুতরাং এ বিষয় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রবন্ধ বা রচনা লেখার আগে মনে রাখা উচিত 

(১) প্রবন্ধের ভাষা যেন সরল হয়। (২) একটি বিষয় যাতে দুবার বলা না হয়। (৩) একটি অনুচ্ছেদে (প্যারাগ্রাফে একটি ভাবই যেন প্রকাশ পায়। এক কথা বলতে গিয়ে তার সঙ্গে অন্যভাব প্রকাশ না পায়। (৪) প্রবন্ধের সূচনা (অর্থাৎ যা বলে আরম্ভ করতে হবে) ও শেষে উপসংহার থাকলে ভালো হয়। (৫) মূল বিষয়ের সঙ্গে সম্বন্ধ নেই, এমন কিছু লেখা উচিত নয়। রচনাকে সাধারণ সাত ভাগে ভাগ করা যায়। যথা—

(ক) প্রাণী বিষয়ক
(খ) উদ্ভিদ বিষয়ক
(গ) স্থান বিষয়ক
(ঘ) জীবনচরিত বিষয়ক
(ঙ) বস্তু বিষয়ক
(চ) ঋতু বিষয়ক
(ছ) চিন্তা বিষয়ক

             কোন বিষয়ের প্রবন্ধে কি লেখা উচিত, তা পর্যায়ক্রমে দেখানো হচ্ছে এবং কোন রচনাটিকে পর পর কিভাবে সাজাতে হয়, তাও দেখানো হচ্ছে।
   প্রাণীবিষয়ক রচনা লিখেতে হলে বক্তব্য বিষয় এইভাবে ভাগ করে নিতে হয় ।
(১) সেটি কোন্ জাতীয় 
(২) আকার ও গঠন
(৩) প্রকৃতি ও স্বভাব 
(৪) প্রাপ্তিস্থান
(৫) আয়ুষ্কাল
(৬) খাদ্য
(৭) উপকারিতা ও অপকারিতা


🌸গোরু🌸


সূচনা : গোরু গৃহপালিত পশু। গোরু মানুষের নানারকম উপকার করে। গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে গোরুকেই মানুষ সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে।

আকৃতি : গোরুর দুটি শিং, একটি লেজ আছে। ওদের গলায় ঝুলানো লম্বা একটি মাংসের থলির মতো থাকে। তাকে বলে গলকম্বল। গোরু-সাদা, কালো খয়েরি অথবা মিশ্র রঙেরও হয়।

প্রকৃতি : গোরু খুব শান্ত এবং সন্তানবৎসল প্রাণী।

খাদ্য : গোরু খড় ও বিচালি খায়। এছাড়া খৈল, ভূষি, ভাতের ফেন প্রভৃতি খায়। মাঠে কচি ঘাস খেতে গোরু খুব ভালোবাসে। প্রথমে ওরা খাবার না চিবিয়ে গিলে ফেলে, তারপর অবসর মতো সেগুলো উগরে নিয়ে পুনরায় চিবোয়। একে বলে রোমন্থন বা জাবর কাটা।

উপকারিতা : গোরুর দুধ মানুষের প্রিয় ও পুষ্টিকর খাদ্য। দুধ থেকে দই, ছানা, মাখন প্রভৃতি নানা রকমের খাবার তৈরি হয়। (ষাঁড়) গোরু গাড়ি টানে। কৃষকেরা বলদ ও ষাঁড় দিয়ে জমিতে লাঙ্গল দেয়। গোরুর চামড়া ও শিং দিয়ে মানুষের দরকারী অনেক জিনিসপত্র তৈরি করা হয়।


🌹কুকুর🌹

সূচনা : কুকুর গৃহপালিত ও প্রভুভক্ত পশু।

আকৃতি : কুকুরের চারটি পা এবং একটি লেজ আছে। কুকুর নানা জাতীয় হয়। খুব ছোটো লোমে ঢাকা কুকুর আছে এবং লম্বা বড়ো আকারের কুকুরও আছে। লাল, সাদা, খয়েরি, কালো প্রভৃতি নানা রঙের কুকুর দেখা যায়। কুকুরের দুটো ধারালো দাঁত আছে। তাই দিয়ে তারা সহজে মাংস ছিড়ে খায়। এই দাঁতকে বলা হয় শ্ব-দন্ত।

প্রকৃতি : কুকুরের ঘ্রাণশক্তি খুব প্রবল। কুকুর খুব প্রভুভক্ত । । উপকারিতা।

উপকারিতা :কুকুরের ঘ্রাণ শক্তি তীব্র বলে চোর-ডাকাত ধরার জন্য গোয়েন্দা পুলিশেরা কুকুরের সাহায্য নেয়। না অনেক সময় অপরাধীর কাপড় জামা বা রক্তের গন্ধ শুঁকে অপরাধীকে শনাক্ত করে। কুকুর অচেনা লোক দেখে উংকার করে প্রভুকে সতর্ক করে দেয়। তাই মানুষ বাড়ির পাহারার জন্য কুকুর পোষে। অপকারিতা : সাধারণত খুব গরমে অনেক সময় কুকুর পাগলা হয়ে যায়। ঐ সময় কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক নামক রোগ হতে পারে।

🌻বিড়াল🌻

সূচনাঃ গৃহপালিত বিড়াল ছাড়া অন্য একরকম বিড়ালও আছে তাদের বলা হয় বন-বিড়াল। 

আকৃতি : বিড়ালের থাবা, নখ এবং সূঁচালো দাঁত আছে। এদের চোখ রাত্রিতে জ্বল তার। এদের গোঁফ আছে। এদের গা লোমে ঢাকা। বিড়াল নানা রঙের দেখা যায়। বিড়াল আকারে। ছোটো। এদের চেহারার সঙ্গে বাঘ-সিংহের চেহারার কতকটা মিল আছে বলে মানুষ ঠাট্টা করে। বিভাগকে বাঘের মাসি' বলে।

প্রকৃতি : গৃহপালিত বিড়াল ছানাপোনা নিয়ে মানুষের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। খাদ্য : বিড়াল মাছ, মাংস, দুধ, ভাত খেতে ভালোবাসে। বিড়াল ইঁদুর মেরে খায়, এমনকি ছোটো খাটো পোকা ও পাখি মেরে খায়।

উপকারিতা : বিড়াল ইঁদুর, ও পোকামাকড় মেরে গৃহস্থের উপকার করে। → অপকারিতা : বিড়াল ঘরের দুধ, মাছ চুরি করে খেয়ে মানুষকে বিরক্ত করে। বিড়ালের এঁটো খাবার খেলে মারাত্মক সংক্রামক রোগ হতে পারে।

🌼হাতি🌼

সূচনা : যে-সব জন্তু স্থলে বাস করে, হাতি তাদের মধ্যে আকারে বড়ো। 

আকৃতি : হাতির দেহ প্রকান্ড। এরা ৯/১০ ফুট উঁচু হয়; এদের মাথাটি গোল এবং বেশ বড়ো। এদের কান দুটি কুলার মতো চওড়া; দেহের তুলনায় চোখ দুটি খুব ছোটো। এর লম্বা শুঁড় আছে এবং শুঁড়ের আগার ছিদ্র দিয়ে সে শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ চালায়। শুধু তা নয়, শুঁড় দিয়ে এরা হাতের কাজ করে। গাছের বড়ো বড়ো মোটা ডাল ভাঙ্গে এবং পয়সা, সিকি এমনকি সুঁচ পর্যন্ত ১টি থেকে তুলে নিতে পারে। এদের শুঁড়ের দু'পাশ দিয়ে সাদা মুলোর মতো দুটি দাঁত বের হয়। হাতির পাগুলি থামের মতো। লেজ খুব ছোটো। এদের গায়ের রং ধূসর।

প্রাপ্তিস্থান : হাতি সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকাতে দেখা যায়। তবে থাইল্যান্ড মালয় ও ব্রহ্মদেশে (মায়ানমার) সাদা হাতিও দেখতে পাওয়া যায়। 

খাদ্য : হাতি ঘাস খায় না। বট, কাকুড়, প্রভৃতি গাছের পাতা, কচি ডাল শুঁড়ের সাহায্যে মুখে পুরে দেয়। কলা, কলাগাছ, আখ ইত্যাদি এদের অতি প্রিয় খাদ্য। এরা রোজ প্রায় দু'মণ পর্যন্ত খাদ্য খায়।

উপকারিতা : হাতিকে দিয়ে অনেক সময় ভারী ভারী কাজ করানো হয়ে থাকে।


🌺বাঘ🌺

ভূমিকা : ভারতের জাতীয় পশু বাঘ। বাঘ খুবই হিংস্র ও মাংসাশী প্রাণী। → আকৃতি : বাঘ লম্বায় প্রায় চার-পাঁচ হাত হয়। চতুষ্পদ প্রাণী। এদের সারা শরীর লোমে ঢাকা। গায়ে কালো ডোরা ডোরা দাগ। চোখ দুটিতেই তার হিংস্রতা ফুটে ওঠে। 

প্রকৃতি : বাঘ গভীর অরণ্যের প্রাণী। এরা পোষ মানে না। এদের ঘ্রাণশক্তি প্রবল এবং দৃষ্টিশক্তি প্রখর।

খাদ্যঃ বাঘ যেহেতু মাংসাশী প্রাণী তাই মাংসই এদের প্রধান খাদ্য। হরিণ, গোরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাি শিকার করে তার মাংস যায়। বাঘ আবার মানুষও পার। সুন্দরবনে এরকম বাঘের দেখা প্রায়ই মেলে।

উপকারিতাঃ স্বভাবে হিং, তবু বাঘের না, চামড়া, চৰি ইত্যাদি অনেক উপকারে লাগে। চিড়িয়াখানায় বাং শিশু থেকে বৃদ্ধের এক বিশেষ আকর্ষণ।

🌷ময়ূর🌷


ভূমিকা: ভারতের জাতীয় পাখি পক্ষীকুলের সেরা ময়ূর। → আকৃতি : পাখি হিসেবে আকৃতিতে বেশ বড়ো। এর যত সৌন্দর্য এর পুচ্ছে অর্থাৎ লেজে। দেহের তুলনায় এদের পুচ্ছ অনেক বড়ো। ময়ূর যখন পেখম মেলে ধরে তখন চোখ ফেরানো যায় না। অসাধারণ সে দৃশ্য


প্রকৃতি : ময়ূর সাধারণত বন্য পাখি। তবে এরা পোষ মানে। ময়ূরের সুন্দর পুচ্ছ থাকলেও ময়ূরী অর্থাৎ স্ত্রী ময়ূর কিন্তু দেখতে ভালো নয়। বর্ষাকালে আকাশে মেঘ দেখলে ময়ূর তার পেখম মেলে ধরে। তবে ময়ূরের ধ্বনি খুব ক


খাদ্য : ময়ূরের খাদ্য বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়, সাপ, শস্যকণা, ধান, গম ইত্যাদি।


উপকারিতা : ময়ূর বিষার পোকামাকড় খেয়ে আমাদের উপকার করে। এদের পালকের গোড়ার দিকটা শোলার মতো। এ দিয়ে আগেকার দিনে কলম তৈরি করা হত। মাছ ধরার ফাতনা এই পালকের গোড়ার দিক দিয়ে তৈরি হয়। ময়ুরের পালকে খুব সুন্দর পাখা হয় যা পূজা-অর্চনার কাজে বহু বাড়িতে ব্যবহৃত হাতে দেখা যায়





এই রকম আরও সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের (Easy Study) পেজটি  ফলো করুণ। 

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section