Ads

Primary Education।। রচনা শিক্ষা।। বাংলা রচনা সম্ভার।। প্রাথমিক শিক্ষার সমাপনী ব্যাকরন ও রচনা

Primary Education।। রচনা শিক্ষা।। বাংলা রচনা সম্ভার।। প্রাথমিক শিক্ষার সমাপনী ব্যাকরন ও রচনা 



ফুটবল আমার প্রিয় খেলা

     কত রকমের খেলা আছে, ফুটবল তাদের মধ্যে সকলের প্রিয় খেলা। 'ফুট' বা পায়ের পা দিয়ে এই খেলা বলেই এর নাম ফুটবল হয়েছে।- এই খেলার জন্যে একশো থেকে একশো কুড়ি মিটার লম্বা ও ৪৬ মিটার চওড়া মাঠের দরকার হয়। মাঠের দু'ধারে দুটি গোল পোস্ট থাকে, অর্থাৎ প্রায় আট গজ দূরে দুটি গুটি পুঁতে তাদের মাথায় ওপর একটা আড়া দেওয়া হয়। এতে দু'দলে এগারো জন করে বাইশ জন খেলোয়াড় লাগে। যে যেখানে খেলে সেই স্থান অনুসারে খেলোয়াড়দের নাম আছে গোলরক্ষক, ব্যাক, হাফপ্যাক, ফরওয়ার্ড ইত্যাদি। একজন 'রেফারি' থাকে যিনি বাঁশি বাজিয়ে খেলা পরিচালনা করেন। তিনি নজর রাখেন কেউ খেলার আইন-কানুন ভাঙছে কিনা। রেফারিকে সাহায্য করার জন্য লাইনের ধারে দুজন থাকেন। তাদে বলা হয় 'লাইন্সম্যান'। যে দল বেশি গোল দেয় সে দলই খেতে। গোল দিতে হলে বিপক্ষদলের গোল পোস্টের ভেতর দিয়ে বলটি পাঠাতে হয়। ফুটবল খেলায় খুব উত্তেজনা আছে। তাই এ খেলা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।

ক্রিকেট


     কথায় বলে, খেলার রাজা হল ক্রিকেট। অনেকে আবার বলেন, রাজার খেলা ক্রিকেট। আসলে এই খেলাটি যেমন রাজকীয় ও অভিজাত, তেমনি খুবই খরচের ব্যাপার। আধুনিক ক্রিকেট প্রথম খেলা হয় ইংল্যান্ডে। পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি দেশ টেস্ট ক্রিকেট খেলে। টেস্ট ক্রিকেট খেলা হয় সাধারণত পাঁচ দিন ধরে। আর দু'দলে থাকে। এগারোজন করে ক্রিকেটার। আজকাল একদিনের ক্রিকেট খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ পাঁচ দিন খেলা দেখার ধৈর্য, সময় কিংবা আকর্ষণ আজকাল খুব কম মানুষের মধ্যে দেখা যায়। সেই তুলনায় একদিনের ক্রিকেট খুবই আকর্ষণীয়। আমরা ১৯৮৩ সালে একদিনের ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানের শিরোপা লাভ করি। সেবার ভারতের দলপতি ছিলেন কপিলদেব।

বন্যা


সূচনা :
বন্যা বাংলাদেশের একটি প্রধান অভিশাপ। প্রায় প্রতি বছরই বন্যা আমাদের ক্ষতি করে। 

কারণ : খুব বেশি বৃষ্টিতে নদীর জল দু-কূল ছাপিয়ে যায়। আশেপাশের গ্রাম ডুবিয়ে দেয়।

বর্ণনা : বন্যার জল হু-হু করে লোকবসতির মধ্যে ঢুকে পড়ে গোরু, ছাগল, ঘর-বাড়ি, জিনিসপত্র ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কত মানুষ ও পশু ভেসে যায়। বহু কষ্ট করে কেউ কোনো রকমে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেয়। প্রাণের ভয়ে ছাদে, গাছে বা চালের ওপরও চড়ে বসে। তবুও মায়ের পাশ থেকে ভেসে চলে যায় কত অসহায় শিশু, বৃদ্ধ ও স্ত্রীলোকও; অনেকে ডুবে যায়। তারপর খাওয়া দাওয়ার অভাবে অনাহারে মানুষ মারা যায়। গোলার আর মাঠের ফসল পুরো নষ্ট হয়।

    এই সময়ে নানা জায়গা থেকে নৌকা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি সাহায্যকারী দল এগিয়ে আসে, বন্যার্ত মানুষকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায় এবং খাদ্য, বস্ত্র ও ওষুধ দিয়ে সাহায্য করে। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের বন্যায় পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৬টি জেলার মধ্যে ১১টি জেলায় যে অভূতপূর্ব ও ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা কোনোকালেও ভুলবার নয়।


বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও আমরা

আধুনিক জীবনে বিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। আমাদের জীবনের সঙ্গে বিজ্ঞান এখন ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক আলো, পাখা, রেডিয়ো, টিভি সবই হল বিজ্ঞানের অগ্রগতির দান। বিজ্ঞান যত উন্নতি লাভ করছে আমাদের জীবনও এখন তত সুন্দরতর হয়ে উঠছে।

        জমিতে যে প্রচুর ফসল উৎপন্ন হচ্ছে, আমাদের নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে উৎপাদন কারখানায় হচ্ছে তা সবই বিজ্ঞানের অগ্রগতি। আমাদের অসুখ-বিসুখে জীবনদায়ী ওষুধপত্র তৈরি হচ্ছে তাও বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফসল। টিভি বা দূরদর্শনের সম্প্রচার আমাদের দেশে প্রথম শুরু হয় ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে। কলকাতায় শুরু হয় ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট। ঘরে বসে দেশ-বিদেশের সিনেমা, নাটক, গান, জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনা সবই দেখতে এবং শুনাতে পাই দূরদর্শনের বোতাম (সুইচ) টেপার সঙ্গে সঙ্গে। পূর্বে স্টিম ইঞ্জিনে রেলগাড়ি চলত—তারপর হল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনে রেলগাড়ি চালানো। বর্তমানে হচ্ছে পাতাল রেল না মেট্রো রেল। মাটির তলা দিয়ে অতি সহজেই রেলগাড়ি চলছে। ফলে যাত্রীদের ভিড় কমানো সম্ভব হয়েছে এবং সময় খুব কম লাগছে। এর ফলে ট্রাফিক জ্যামেরও ভয় থাকে না। এ সবই বিজ্ঞানের উন্নতির ফল। এটি বিজ্ঞান ছাড়া আমাদের জীবনে এক পাও ফেলা সম্ভব নয়।

কম্পিউটার

ভূমিকা :
বর্তমানে 'কম্পিউটার' শব্দটি বহুল প্রতারিত। প্রায়শই বলতে শোনা যায় এটা কম্পিউটারের বৃগ। ভাসলে কম্পিউটার' হল একটি যন্ত্র যার মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যে বিশাল গণনার কাজ শেষ করা যায় নির্ভুলভাবে। চার্লস ব্যাবেজ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম কম্পিউটার আবিষ্কারের উদ্যোগ নেন।

গঠন:  একটি কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ। কীবোর্ড, প্রিন্টার, কার্ড পাল্ডিং মেশিন, কাড রিডার, ম্যাগনেটিক টে মাউস প্রভৃতি। টিভির মতো একটি যন্ত্র থাকে তাকে বলে মনিটর। কম্পিউটার মেশিনের ভেতর অসংখ্য রকম ছোটো ছোটো তারের সাহায্যে তার বিভিন্ন অংশের সাথে থাকে যোগাযোগ। কম্পিউটারকে 'ডিজিটাল' ও 'এনালগ এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয়য়।

ব্যবহার : কম্পিউটার এখন বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। অফিসে, কল-কারখানার, রেলস্টেশনে টিকিট বুি কাজে। চিকিৎসাবিদ্যা, নানান বৈজ্ঞানিক গবেষণায়, আবহাওয়া পূর্বাভাস নির্ণয়ে কম্পিউটারের ব্যবহার হয়। এমনকি এখন দৈনন্দিন কাজে এবং সবচেয়ে বেশি ডিটিপির ব্যবহারে আজ বড়ো ভূমিকা নিয়েছে। 

উপসংহার: কম্পিউটার এর আবিষ্কার মানুষের পরিশ্রমকে করেছে লাঘব। বিজ্ঞানের এই আবিষ্কারে একদিকে আমাদের যেমন সুবিধাও হয়েছে তেমনি মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে বেকারও করে দিয়েছে। তবু কম্পিউটার আজ আমাদের সভ্যতার অন্য।

পরিবেশ দুষণ

ভূমিকা :
বর্তমান দিনে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায় 'গাছ কাটবে না"। "গাছের মতো বন্ধু আর কেউ নেই। যতটা সম্ভব গাছ লাগান।' 

পরিবেশ কী? : আমাদের চারপাশের অসংখ্য জিনিস ঘর বাড়ি, পশু-পাখি, নদী-নালা, পথ-ঘাট ইত্যাদি নিয়েই আমাদের পরিবেশ। সুতরাং, এগুলো অপরিষ্কার বা নোংরা হলে আমাদের জীবনও হবে অসুন্দর।

পরিবেশ দূষণ কীভাবে হয় ? : পরিবেশ দূষিত হয় বিভিন্ন কারণে। সেখানে সেখানে আবর্জনা ও নোংরা ফেলার ফলে পরিবেশ দুষিত হয়। এ ছাড়া কল-কারখানা ও গাড়ির ধোঁয়া জল ইত্যাদি আমাদের চারপাশের পরিবেশ দূষিত করে।

দূষণের ক্ষতি : গ্রামের থেকে শহরের পরিবেশ অনেক বেশি দূষিত হয়। তার কারণও বহু আছে-- প্রথমত, অনবরত গাড়ি ও কলকারখানার ধোঁয়ার বাতাস দুষিত হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, শহরের নর্দমার জল কল-কারখানার রাসায়নিক নোংরা পদার্থ সব সময় বাতাসে ও জালে মিশে দূষণ ঘটাচ্ছে। পরিবেশ দূষিত হলে বাতাস থেকে আমরা যে অক্সিজেন নিয়ে থাকি তা শরীরের মধ্যে গিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়।

দূষণ প্রতিরোধের উপায়ঃ
এর থেকে মুক্ত হতে গেলে কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি পালন করা কর্তব্য । প্রথম কর্তব্য হল যেখানে সেখানে আবর্জনা না ফেলা, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা। সকলেই যদি এটা মেনে চলেন তাহলে সম শহরটাই পরিষ্কার থাকতে বাধ্য।

উপসংহার : এ ছাড়া সর্বোপরি মানুষের কর্তব্য হল – গাছ লাগানো। গাছই আমাদের দুষিত বায়ুকে গ্রহণ করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন দিতে সক্ষম।

ধান 

ভূমিকা :
আমাদের দেশের প্রধান খাদ্যশস্য হল ধান। ধান থেকে হয় চাল। সেই চাল গরম জলে দেশ করে শুন্য ভাত। এই ভাত বাঙালিদের প্রধান খাদ্য। 

উৎপাদনঃ ধানের ফলন ভালো হবার জন্য চাই নীচু জমি আর প্রচুর জল। ধান চাষের জন্য প্রয়োজন দোআঁশ বা পলিমাটি।

এর প্রকারভেদ : পশ্চিমবলো আউশ, আমন ও বোরো এই তিন ধরনের ধান, তা হ আউশ ধান বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে রোপণ করা হয় এবং ঝারু আশিনে ফসল কাটা হয়। আমন চারা রোপণ করা হয়। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে। এই ফসল কাটা হয় অণ-পোग মাসে। আর বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয় পোর মাধ মাসে এবং কাটা হয় ফাল্গুন-চৈত্র মাসে। এছাড়াও অন্যান্য বহু প্রকার ধান ফলানো হয়, যেমন— আই, আর এইট, রান্না প্রভৃতি।

প্রাপ্তিস্থান : ধান পৃথিবীর অনেক দেশেই জন্মায়। যেমন- জাপান, মিশর, ফিলিপাইন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সিংহল, চিন প্রভৃতি দেশে। আমাদের দেশে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও অসমের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা অঞ্চলে প্রচুর ধান উৎপন্ন হয়। এছাড়া দক্ষিণ ভারতের মহানদী, গোদাবরী, কুরা, কাবেরী নদীর সন্দ্বীপ অঞ্চলেও প্রচুর ধান হয়। উপকারিতা : ধান থেকে চাল আর তা থেকে ভাত এতো আছেই। এছাড়া ধান থেকে মুড়ি, খই, চিড়ে ইত্যাদি পাই। ধানের কুঁড়ো অর্থাৎ ধানের ওপরের অংশ থেকে বর্তমানে ভোজা তেল পাওয়ার বারমা হচ্ছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী। শুকনো ধান গাছকে বলা হয় খড়। খড় গোরুর প্রধান খাদ্য। এই খড় দিয়ে ঘরও ছাওয়া হয়।

এই রকম আরও সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের (Easy Study) পেজটি  ফলো করুণ।


👇আরও দেখুন 👇

(ক) প্রাণী বিষয়ক
(খ) উদ্ভিদ বিষয়ক
(গ) স্থান বিষয়ক
(ঘ) জীবনচরিত বিষয়ক
(ঙ) বস্তু বিষয়ক
(চ) ঋতু বিষয়ক
(ছ) চিন্তা বিষয়ক

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Section